দেশের মিঠাপানিতে ২৬০ প্রজাতির মাছ ও চিংড়ির প্রজাতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক। সোমবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য মিসেস আমিনা আহমেদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, দেশীয় প্রজাতির জনপ্রিয় মাছ কৈ, শিং, মাগুর, পাবদা, ভেদা, সরপুটি ও বাইমসহ শতাধিক প্রজাতির মিঠা পানির মাছে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য মৎস্য অধিদপ্তর ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।মোহাম্মদ ছায়েদুল হক বলেন, বিগত ৫ বছরে পোনামাছ অবমুক্তির পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন। এ পোনা মাছ অবমুক্তি কার্যক্রমের ফলে বার্ষিক প্রায় ৭ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন অতিরিক্ত মাছ উৎপাদিত হচ্ছে এবং ইতোমধ্যেই অনেক বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির মাছের আবির্ভাব ঘটেছে।তিনি বলেন, গত ৫ বছরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন নদ-নদী ও অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে ৫৩৪টি অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এমতাবস্থায় ৫ বছরে স্থাপিত ৫৩৪টি অভয়াশ্রমসহ দেশব্যাপী প্রায় ৫৫০টি অভয়াশ্রম স্থানীয় সুফলভোগী সফলতার সাথে পরিচালনা করছে।মন্ত্রী বলেন, গত ৫ বছরে ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর অবক্ষয়িত জলাশয় মৎস্য অধিদপ্তরের আওতায় খনন করা হয়েছে। এ সকল জলাশয় উন্নয়নের ফলে বার্ষিক গড়ে প্রায় ৩ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত মাছ উৎপাদিত হবে বলে আশা করা যায়।২০১২ সালে বিগত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫৬৯ কেজি রেণু আহরিত হয়েছে। ২০১৪ সালে প্রথম ধাপে ৫০৮ কেজি রেণু সংগৃহিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।মোহাম্মদ ছায়েদুল হক বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৮টি জেলায় ৭৫টি উপজেলায় ১৩৬টি অবক্ষয়িত প্রাকৃতিক জলাশয় পুনঃখনন করে সেগুলোতে ১৫৪ মেট্রিক টন দেশীয় প্রজাতির পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বছরে ১ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট বিলুপ্তপ্রায় মিঠা পানির ১৮টি মাছের কৃত্রিম প্রজনন এবং চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এগুলোর মধ্যে পাবদা, গুলশা, শিং, মাগুর, ভেদা, মহাশোল, বাটা,গনিয়া, সরপুটি, গুজি ইত্যাদি অন্যতম। ফলে মিঠা পানির বিলুপ্ত প্রায় মাছ সংরক্ষণ ও চাষের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। -বাসস