দেশজুড়ে

সব মৌসুমি ফল মেলে যে বাজারে

সব মৌসুমি ফল মেলে যে বাজারে

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস নাগরিক জীবন। এ অবস্থায় কিছুটা স্বস্তি এনে দিতে পারে যে কোনো রসালো ফল কিংবা ফলের সরবত। তবে সব ধরনের মৌসুমি ফল এক জায়গায় পাওয়া এখন দুরুহ ব্যাপার।

Advertisement

কিন্তু এ ঝামেলা থেকে পরিত্রাণ দিয়েছে খুলনা নগরীর হেলাতলা মোড়ে বসা আধাবেলার ভ্রাম্যমাণ ফলের বাজার। যে কোনো মৌসুমি ফল মেলে এ বাজারে। মাঝে মধ্যে অসময়েরও অনেক ফল পাওয়া যায়। প্রতিদিন দুপুর থেকে বিভিন্ন ফল নিয়ে এখানে বসেন প্রায় অর্ধশত বিক্রেতা। ভিড় জমে ক্রেতাদেরও।

খুলনার হেলাতলা মোড়ের ৩০-৪০ গজের এ ফলের বাজারে এখন মিলছে আতা, কাঁঠাল, তরমুজ, দুষ্প্রাপ্য বেতফল, আঁশফল, জামরুল, বাঙি, পেয়ারা, সফেদা, কলা, পেঁপে, বেল, খিরাই, আনারস, মালটা, আপেল, কমলা, ডাব।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনার আশপাশের রূপসা, তেরখাদা, নোয়াল, ডুমুরিয়া, দিঘলিয়া উপজেলা থেকে এ বাজারে দেশী ফল আসে। শুধু খুলনা নয়, মাঝে মধ্যে বাগেরহাট, যশোর ও সাতক্ষীরা জেলা থেকেও এখানে বিভিন্ন প্রকার মৌসুমি ফল আসে।

Advertisement

ফল কিনতে আসা রোজিনা জামান বলেন, সব ফল পাওয়া যায় এখানে। অনেক সময় অসময়েরও কিছু কিছু ফল মেলে। এসব ফলের দাম একটু বেশি হলেও কিনতে মন চায়। এছাড়া অন্য মৌসুমি ফলের দাম এখানে কিছুটা কমে পাওয়া যায়।

ইফতারের জন্য ফল কিনতে আসা বটিয়াঘাটা উপজেলার চক্রাখালী এলাকার বাসিন্দা হেলাল মোল্লা বলেন, এখানে যে ফল পাওয়া যায় তা অনেক সময় খুলনার সব বাজার ঘুরেও মেলে না। বড় বাজারে যারা আসেন তারাই এখান থেকে ফল কিনে নিয়ে যান।

তিনি আরও বলেন, প্রায় সময় তিনি অফিসের কাজ শেষ করে এখান থেকে ফল কিনেন। দাম কম আর মানও ভালো।

ফল বিক্রেতা আবেদ আলী বলেন, এ গরমে ফল মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। সে কারণে এখন একটু বেশি বেচাকেনা হচ্ছে। রাত ৮টার মধ্যেই প্রায় সব ফল বিক্রি হয়ে যায়।

Advertisement

তিনি জানান, বাজারে পেঁপে কেজি প্রতি ৬০-১০০ টাকা কেজি, সফেদা ৫০-৬০ টাকা, জামরুল ১২০ টাকা, মালটা ১৮০ টাকা, আপেল ২০০ টাকা, বাঙি ৩৫ টাকা কেজি, তরমুজ ৩৫ টাকা, আতা ১২০ টাকা, বেতফল ১০০ গ্রাম ৫০ টাকা, বেল আকার ভেদে ৫০-১০০ টাকা, আনারস আকারভেদে ২০ থেকে ৫০ টাকা, ডাব প্রতি পিস ৬০-৭০ টাকা, কাঁঠাল আকার ভেদে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মো. সামছুজ্জামান মিয়া স্বপন জাগো নিউজকে বলেন, এ ফলের বাজার অনেক আগে থেকেই এখানে বসে। তবে কিছুদিন বন্ধ ছিল। আবারও বসছে। এখানে দেশি জাতের প্রায় সব ফলই বিক্রি হয়।

কাউন্সিলর আরও বলেন, বাজারে যেন কারো কোনো সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে বিশেষ নজরদারি করা হয়।

আলমগীর হান্নান/এসজে/জেআইএম