বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌ রুটে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়ছে। বুধবার (২৭ এপ্রিল) ভোর থেকে চাপ বেড়েছে শিমুলিয়া ঘাটে। এ রুটে আটটি ফেরি থাকলেও এখন পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে। পরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে আছে যাত্রী ও যানবাহন। সকালে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফেরি বেগম রোকেয়া সার্ভিসিং পয়েন্টে চলে যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌ রুটে এখন পর্যন্ত পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে। মাঝিকান্দি-শিমুলিয়া রুটে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে আরও দুটি ফেরি। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ততোই যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে। ফলে এ রুটে ফেরি না বাড়ালে ভোগান্তিতে পড়তে হবে যাত্রীদের। তবে সকাল থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোটে যাত্রীদের নদী পার হতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিমুলিয়া থেকে আসা ফেরিতে মোটরসাইকেলের সংখ্যাই বেশি। মাত্র পাঁচটি ফেরি চলাচল করায় ঘাটে আসা যানবাহনগুলোকে দীর্ঘ সময় ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, এ নৌ রুটে আরও দুটি মিডিয়াম ফেরিসহ তিনটি ফেরি যুক্ত হচ্ছে। শিমুলিয়ার উদ্দেশ্যে ফেরি তিনটি রওনা দিয়েছে। এদিকে সোমবার রাতে কুঞ্জলতা ফেরি দিয়ে ট্রায়াল দেওয়া হয়েছিল। চাপ বাড়লে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ২৪ ঘণ্টা ফেরি সার্ভিস শুরু হবে। এ নৌ রুটে কে-টাইপ ফেরি কুমিল্লা, কুঞ্জলতা, ক্যামেলিয়া, কর্ণফুলী ও রোরো ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল চলছে। এছাড়াও মিডিয়াম ফেরি কদম, বেগম রোকেয়া ও ছোট ফেরি ফরিদপুর যুক্ত হবে ঈদের ছুটি শুরুর আগেই।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার থেকে ঘাটে যাত্রীদের চাপ শুরু হবে। এ রুটে ১০টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করবে।
এ ঘাটে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আসিব বলেন, ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে ঘাট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকলে মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারবেন।
হাইওয়ে পুলিশের মাদারীপুর জোনের পুলিশ সুপার মো. হামিদুল আলম বলেন, ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাইওয়ে পুলিশের টিম কাজ করবে।
কেএম নাসিরুল হক/আরএইচ/এমএস