দেশজুড়ে

শিমুলিয়া ঘাট ফাঁকা

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদযাত্রার আজ শেষদিনেও দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষকে পদ্মা নদী পারি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে। তবে ঘাটে যাত্রী উপস্থিতি একদমই কম।

সোমবার (২ মে) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সকালের দিকে ১ নম্বর ফেরিঘাটে শত শত মোটর সাইকেলের উপস্থিতি। তবে একটি ডাম্প ও একটি কেটাইপ ফেরি দিয়ে অপেক্ষারত মোটরসাইকেলগুলো পারাপার করা হয়। এরপরই মোটরসাইকেলের চাপ একেবারেই কমে আসে।

যানবাহনের চাপ না থাকায় সকাল ১০টা থেকে ১ নম্বর ফেরির ঘাটের পাশাপাশি ৩ নম্বর ঘাট দিয়েও মোটরসাইকেল পার করা হয়। ১০টার দিকে রোরো ফেরি এনায়েতপুরী দিয়ে অবশিষ্ট যানবাহনের পর একেবারেই যানবাহনশূন্য হয়ে পড়ে ফেরিঘাটের পার্কিং ইয়ার্ড।

এদিকে সকাল থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোটে পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা। উপস্থিতি থাকলেও চাপ নেই। তবে নদীতে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত চালু থাকায় সতর্কতার সঙ্গে চালানো হচ্ছে এসব নৌযান।

কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত অনেকে শহরের ব্যস্ততা শেষ করতে পারেনি। অনেকে ভোগান্তি এড়াতে পড়ে রওনা হয়েছেন। তারাই আজ বাড়ি ফিরছেন।

বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাজিরকান্দি নৌরুটে সকাল থেকে ১০টি ফেরি, ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৫টি স্পিডবোট সচল রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. সোলেইমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভোর ৬টা থেকে আজ দিনভর ঘাটে মানুষ এলেও কোনো রকম চাপ পড়েনি। স্বাভাবিক সময়ের মতো পরিস্থিতি ছিল। যেসব যাত্রী এসেছেন তারা সহজেই স্বস্তি নিয়ে পারাপার হতে পেরেছেন।’

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মাহবুব বলেন, ‘গতকালের চিত্র আজকের চিত্র একেবারেই উল্টো। সকালের দিকে কিছুটা চাপ থাকলেও দুপুরের আগেই তা শূন্য হয়ে পড়ে। এখন যেসব গাড়ি আসছে সেগুলো পারাপারে কোনো জটলা তৈরি হচ্ছে না। দেখা যায় গাড়ি ভর্তি করার জন্যই কিছু সময় ফেরি নোঙর করে রাখতে হচ্ছে।’

আরাফাত রায়হান সাকিব/এসআর/এমএস