ইউক্রেন সফরে গেছেন ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিক। সম্প্রতি দেশটির মারিউপোল শহরে লড়াইয়ের সময় ক্রোয়েশিয়ার এক নাগরিক রুশ বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। এই ঘটনার পরই দেশটিতে পা রাখলেন ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
এক বিবৃতিতে ক্রোয়েশিয়া সরকার জানিয়েছে, ইউক্রেনের নেতৃত্ব এবং দেশটির জনগণের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করতেই এই সফরে গেছেন আন্দ্রেজ প্লেনকোভিক।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ক্রোয়েশিয়া জানে যে একটি সামরিক আগ্রাসন কেমন হয় এবং তারা এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, আর্থিক, মানবিক, প্রযুক্তিগত এবং অন্য যেকোনো সম্ভাব্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের একটি স্কুলে রাশিয়ার বিমান হামলায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির লুহানস্ক অঞ্চলের ওই স্কুলটিতে ৯০ জনের মতো বেসামরিক নাগরিক আশ্রয় নিয়েছিল। স্থানীয় সময় শনিবার ওই স্কুলে বিমান হামলা চালানো হয়। স্থানীয় এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
লুহানস্কের আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি হাইদাই জানিয়েছেন, ওই স্কুলে আশ্রয় নেওয়া ৩০ বেসামরিক নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সাতজন আহত হয়েছেন।
অপরদিকে ইউক্রেনের ২০০ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। দেশটিতে রাশিয়ার হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে আকস্মিক আক্রমণ চালায় রাশিয়া।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি বিভাগের পরিচালক মাইক রিয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কি না তা মূল্যায়ন করতে পারে এমন ব্যক্তিদের কাছে তারা যেসব বিষয় জানতে পেরেছেন তা উপস্থাপন করা হবে। ওই একই সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেশী দেশের ওপর মস্কোর হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. তেদ্রস আধানম ঘেব্রেয়েসুস। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইউক্রেনের মানুষের পাশে আছে।
ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিক্টর লিয়াশকো জানিয়েছেন, দেশটির ৪০টি হাসপাতাল পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া আরও প্রায় ৫০০ হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
Advertisement
টিটিএন/জিকেএস