ক্ষেতের পাকা ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য জড়ো করেছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কৃষক লাল্টু মিয়া। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে সোমবার (৯ মে) দুপুরে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ভিজে যায় সেই ধানের কিছু অংশ। আর বাকি ধান বৃষ্টিতে ভেজার হাত থেকে রক্ষার জন্য পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে তিনি। তবে ভিজে যাওয়া ধানের কিছু অংশ নষ্ট হয়ে যাবে বলে জানান এই কৃষক।
একইভাবে জেলার বিভিন্ন উপজেলার মাঠে মাঠে চলছে বোরো ধান কাটার কাজ। জেলার সাধুহাটিসহ বিভিন্ন এলাকায় বৈরি আবহাওয়ার হাত থেকে ধান রক্ষার জন্য ৮০ ভাগ পেকে গেলেই তা কেটে ফেলার জন্য কৃষকদের সচেতন করতে মাইকিংও করা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অনেক কৃষক ক্ষেতের ধান কেটে ঘরে তুলেছেন আবার কারও কারও কাটা ধান রয়ে গেছে ক্ষেতেই। হঠাৎ বৃষ্টিতে অনেক স্থানেই সেই ধান ভিজে গেছে। আর কাটার অপেক্ষায় থাকা ধানগুলো হেলে পড়েছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছর জেলায় বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ৮৯ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে ৩২ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে। জেলা সদরের ভরুয়াপাড়া গ্রামের কৃষক লাল্টু মিয়া বলেন, ১০ কাঠা জমির ধান কেটে রেখেছিলাম বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে কিছু ধান ভিজে গেছে আর কিছু পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছি। ভিজে যাওয়া ধানের মধ্যে পানি লাগার কারণে নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। লাউদিয়া এলাকার কৃষক কাইয়ুম হোসেন জানান, রোববার সকালে দুই বিঘা জমির ধান কেটেছেন। কিন্তু সোমবারের বৃষ্টিতে মাঠে কেটে রাখা ধান পানিতে ভিজে গেছে। এভাবে যদি বৃষ্টি হতে থাকে তাহলে কেটে রাখা ধান প্রায় সবই নষ্ট হয়ে যাবে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম জানান, বৃষ্টিতে কেটে রাখা কিংবা পড়ে যাওয়া ধান চারা গজিয়ে কিংবা ঝরে কিছুটা ক্ষতি হবে। তবে যদি বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে কৃষককের ক্ষতির মাত্রা বাড়বে।
এদিকে, বৃষ্টির কারণে শহরের হাটেবাজারে, রাস্তাঘাটে কমেছে মানুষের চলাচল। অলস বসে সময় কাটছে কিছু কিছু দোকানির। কমেছে বেচাকেনা। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এমআরআর/এএসএম