নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে পরিবারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে স্কুলে যাওয়ার পথে তিন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধ। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Advertisement
বুধবার (২৫ মে) সকালে উপজেলার পেরীরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীরা হচ্ছে পেরীরচর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী আর্তিকা আক্তার (১৩), ছেলে প্রথম শ্রেণির ছাত্র সাদেকুল ইসলাম (৭) ও তার ভাই আলম মিয়ার মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মুন্নী আক্তার (১৪)।
এদের মধ্যে আর্তিকা আক্তারের মাথায় দুটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বাকি দুজনের শরীরে লাঠির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
Advertisement
আহত আর্তিকা আক্তার জানায়, সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে প্রতিবেশী রহিম শাহ (৩৫) ও তার স্ত্রী অজুফা (৩০) তাদের কিল-ঘুষি-লাথি মারেন ও লাঠি দিয়ে মারধর করেন। তারা চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করেন।
আর্তিকার চাচি হাফছা আক্তার বলেন, ‘জমির পাশের মাটি কাটা নিয়ে রহিম শাহর সঙ্গে আমাদের পরিবারের দ্বন্দ্ব আছে। এরই জের ধরে সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে বাচ্চাদের মেরে জখম করেছে।’
তিনি বলেন, ‘ঝামেলা তো বড়দের সঙ্গে ছিল কিন্তু বাচ্চাদের মারলো কেন? এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’
আর্তিকার বাবা ইদ্রিস মিয়া বলেন, ‘ঝামেলা বড়দের সঙ্গে কিন্তু স্কুলে যাওয়ার পথে তারা আমাদের বাচ্চাদের মেরেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
Advertisement
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এইচ এম কামাল/এসআর/জেআইএম