দেশের উন্নয়ন এবং মানুষের মঙ্গল ও কল্যাণে অসামান্য অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দেওয়া সম্মাননা স্মারক প্রদর্শন করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ মে) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ’ নামের একটি সংগঠন ‘বাংলাদেশের গৌরব ও সম্মান’ শীর্ষক এই সম্মাননা স্মারক প্রদর্শনের আয়োজন করে।
এসময় সম্মাননা স্মারকটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা দেন সংগঠনটির সভাপতি এফ. আহমেদ খান রাজীব। পরে প্রদর্শনী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশ ও মানব কল্যাণে কাজ করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। মানবজাতির পক্ষে একযোগে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে পৃথিবীতে একটা বিশেষ দিবস থাকা অত্যাবশ্যকীয়। সেই বিশেষ দিবসটি হওয়া উচিৎ ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’। যার জন্য বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বরই যথাযথ।
এসময় এফ. আহমেদ খান রাজীব বলেন, মানুষের মাঝে বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির পরিবেশ সৃষ্টি করাই হচ্ছে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের মূল লক্ষ্য। হিংসা, বিদ্বেষ, অহংকার পরিত্যাগ করে ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের মিশ্রণে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশ গড়তে পারলেই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, দেশবরেণ্য ১০০ জন ব্যক্তিকে কৃতজ্ঞতা সম্মাননা পদক উপহার দেওয়া হবে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ দেশের উন্নয়ন এবং মানুষের মঙ্গল ও কল্যাণে অসামান্য অবদান রাখায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশবাসীর পক্ষে কৃতজ্ঞতা প্রকাশস্বরূপ ‘বাংলাদেশের গৌরব ও সম্মান’ শীর্ষক সম্মাননা স্মারক দেওয়ার ঘোষণা দিলাম। খুব শিগগির সম্মাননা স্মারকটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবো আমরা।
এসময় সংগঠনের সদস্য অ্যাডভোকেট সুলতান আহমেদ খান, লিয়াকত আলী খান, মো. হাবিবুর রহমান, প্রফেসর ড. শহীদ মঞ্জু, মো. আমান উল্লাহ্ আমান ও মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরএসএম/ইএ/এমএস