নিখোঁজের চার বছর পর নাটোরের গৃহবধূ আসমানী খাতুনকে গাজীপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। উদ্ধারের পর তিনি জানিয়েছেন, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অমানবিক আচরণের কারণে অভিমান করে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
মঙ্গলবার (৩১ মে) রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর সাহেব বাজার এলাকা থেকে আসমানীকে উদ্ধার করে নাটোর পিবিআইয়ের একটি দল।
বুধবার (১ জুন) সকালে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন পিবিআই নাটোরের পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন।
এসময় তিনি বলেন, ২০১৮ সালে নাটোর সদর উপজেলার শিবদুর গ্রামের দুলাল হোসেনের স্ত্রী আসমানী খাতুন শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অমানবিক আচরণের কারণে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান। তিনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখায় পরিবারের লোকজন তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পায়নি। পরে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আসমানীর বাবা আকবর আলী সরদার বাদী হয়ে আসমানীর স্বামী, শ্বশুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, এই ঘটনায় শ্বশুর নুরুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে পাঠান। সদর থানা পুলিশ দুই বছর ধরে মামলার তদন্ত করার পর আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য নাটোর পিবিআইকে নির্দেশ দেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পিবিআই মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর সাহেব বাজার এলাকার শরিফের বাড়ি থেকে আসমানীকে উদ্ধার করে।
পিবিআই পুলিশ সুপার শরিফ বলেন, উদ্ধারের পর আসমানী খাতুন জানান, তিনি নিজেকে আত্মগোপনে রেখে গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে আসছিলেন। অভিমান থেকেই তিনি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছিলেন।
রেজাউল করিম রেজা/এমআরআর/জিকেএস