দেশজুড়ে

ছাত্রীর বাবার খুরের আঘাতে হাসপাতালে শিক্ষক

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শিক্ষককে খুর দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বিরুদ্ধে। আহত শিক্ষককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (১ জুন) বিকেল ৪টায় পাটগাতী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সঞ্চরণ এডুকেশন কেয়ার নামক কোচিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষকের নাম সার্জিল আহমেদ। তিনি সঞ্চরণ এডুকেশন কেয়ার কোচিং সেন্টারের পরিচালক। তার বাড়ি উপজেলার গিমাডাঙ্গার গজালিয়া গ্রামে। সার্জিল আহমেদ গিমাডাঙ্গা নেছারিয়া ফাজিল মাদরাসার সাবেক প্রিন্সিপাল একেএম কালিমুল্লাহর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই কোচিংয়ে পড়া না পারার কারণে এক ছাত্রীকে বকাঝকা করেন শিক্ষক সত্যজিৎ বিশ্বাস। এতে ওই ছাত্রী উত্তেজিত হয়ে কথা বলে। পরে শিক্ষক তাকে স্কেল দিয়ে মৃদু আঘাত করেন। এতে সে ক্ষুব্ধ হয়ে তার বাবাকে জানায়। মেয়ের কথা শুনে ওই কোচিং সেন্টারে যান ছাত্রীর বাবা শরিফুল শিকদার। তিনি শিক্ষক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে গালিগালাজ করেন এবং শিক্ষার্থীদের সামনে চড়-থাপ্পড় দেন।

পরে কোচিংয়ের পরিচালক সার্জিল আহমেদ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসেন। তার সঙ্গে শরিফুল শিকদারের কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে সার্জিল আহমেদকে তিনি খুর দিয়ে আঘাত করেন। এসময় কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষককে মারতে দেখে শরিফুল সিকদারকে ধাওয়া করেন। উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।

ওই ছাত্রী বঙ্গবন্ধু স্মৃতি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা শরিফুল শিকদার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার শ্রীরামকান্দী গ্রামের বাসিন্দা।

তবে শিক্ষক সার্জিল আহমেদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তৌহিদা।

ছাত্রীর মা নীলা তালুকদার বলেন, ‘ঘটনাটি আকস্মিকভাবে ঘটে গেছে। আমার স্বামী মেয়ের শিক্ষক আঘাত করেছে শুনে সহ্য করতে পারেনি। ওই ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টুঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তন্ময় মন্ডল বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেহেদী হাসান/এসআর/ইএ