জাতীয়

মানুষ এখন না খেয়ে মরছে না: তাজুল ইসলাম

মানুষ এখন না খেয়ে মরছে না: তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশে এক সময় ভয়াবহ দরিদ্রতা ছিল। আমি নিজে দরিদ্রতা দেখেছি। না খেয়ে থাকা মানুষের আহাজারি শুনেছি। মানুষ দরজায় এসে বলতো ‘মাগো সারাদিন কিছু খাই না, দয়া করে ক’টা খাবার দেন’। কিন্তু এখন মানুষ না খেয়ে মরছে না।

Advertisement

রোববার (৫ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, দেশ অর্থনীতির সবসূচকে অনেক এগিয়েছে। এটি সবাইকে মানতে হবে। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সেগুলোকে চিহ্নিত করে সমাধান করতে হবে। আর এটি একদিনে হবে না। স্বাধীনতার পর মাথাপিছু আয় ছিল ১২৫ ডলার। এখন এটি বহুগুণ ছাড়িয়ে গেছে। আগে খাদ্যের চরম অভাব ছিল। এখন সেটি নেই। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ সব খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, সরকার সব শ্রেশি-পেশার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করেই বাজেট ঘোষণা করে থাকে। কারণ এর মাধ্যমে মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়। দেশের কোনো মানুষকে বাদ দিয়ে উন্নত দেশে গড়া সম্ভব না। দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়ে সব মানুষের অংশগ্রহণে। এবারের বাজেটেও জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত ঘটবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Advertisement

করোনাভাইরাসের প্রকোপ কেটে উঠতে না উঠতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পুরো বিশ্বে টালমাটাল শুরু হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি অনেক জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আমরা পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছি। সরকার নানাভাবে এ সমস্যা সমাধানে কাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করার জন্য নকশা তৈরি করেছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পঞ্চমবার্ষিকীসহ বিভিন্ন প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। দেশে যে অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ চলছে তা বাস্তবায়িত হলে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে। দেশ পৌঁছে যাবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. এম এম আকাশ, রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ, দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ।

আল সাদী ভূঁইয়া/এমএএইচ/জিকেএস

Advertisement