বন্ধুর সঙ্গে প্রেম করতে দুই মাস ধরে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে চাপ দিয়ে আসছিল একই স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্র। এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সেই ছাত্রের বিরুদ্ধে। পরে বিদ্যালয়ে এক সালিশে দুইপক্ষের অভিভাবকদের ডেকে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ জুন) সদর উপজেলার দত্তপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের একই এলাকায় অভিযুক্ত ছাত্র ও ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার বসবাস করে। গত দুইমাস ধরে ওই ছাত্র তার এক বন্ধুর সঙ্গে প্রেম করতে ছাত্রীকে চাপ দিয়ে আসছিল। এতে ওই ছাত্রী রাজি হয়নি। সোমবার (১৩ জুন) রাত ১১টার দিকে অভিযুক্ত ছাত্র তার বন্ধুকে ডেকে এনে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওই ঘটনার জেরে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দত্তপাড়া স্কুলের মধ্যে অভিযুক্ত ছাত্র ওই ছাত্রীকে চড়-থাপ্পড় দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে আবার দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর দুপুর ১টার দিকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আকছির ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সালিশ বসে। পরে সেখানে ওই ছাত্রকে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দিয়ে ভবিষ্যতে এমন কাজ না করতে সাবধান করে দেওয়া হয়।
দত্তপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সনৎ কুমার সাহা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ছেলে ও মেয়ে দুজনই আমাদের শিক্ষার্থী। ছেলে ও মেয়েপক্ষ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীকালে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে ওই ছাত্রকে টিসি দেওয়া হবে।
হাফিজুল নিলু/এমআরআর/এএসএম