দেশজুড়ে

হবিগঞ্জে আরও ৫০ গ্রাম প্লাবিত

বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে আজমিরীগঞ্জ ও নবীগঞ্জে কয়েক হাজার পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। এদিকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করছে জেলা প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে শুকনো খাবার, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহি উদ্দিন জানান, উপজেলার চার ইউনিয়নের অন্তত ৫০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। ইতোমধ্যে অন্তত এক হাজার মানুষ ১২টি আশ্রয়কেন্দ্রে  অবস্থান নিয়েছেন। তাদের জন্য শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অ.দা) মিনহাজ আহমেদ শোভন জানান, কুশিয়ারার পানি অব্যাহতভাবে বাড়ছে। নদীর বাঁধ উপচে পানি হাওরে প্রবেশ করায় দিঘলবাগ, ইনাতগঞ্জ, বড় ভাকৈর, আউশকান্দি ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম বলেন, যেভাবে পানি বাড়ছে আল্লাহর ওপর ভরসা ছাড়া কোনো উপায় নেই।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ১২টি আশ্রয়কেন্দ্রে এক হাজার মানুষের জন্য পাঁচ হাজার ৫০০ কেজি চাল, দেড় লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ৫০ হাজার টাকার গো খাদ্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও শুকনো খাবার প্যাকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নবীগঞ্জের পাশাপাশি আজমিরীগঞ্জ উপজেলায়ও অনেক গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও দুই হাজারেরও বেশি মানুষ অবস্থান নিয়েছেন। নবীগঞ্জে ১৩টি, লাখাইয়ে ১৫টি এবং আজমিরীগঞ্জে ২১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। দুর্গত মানুষদের সহায়তায় পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, ওষুধ, মোমবাতি, দিয়াশলাই মজুদ রাখা হয়েছে।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/আরএইচ/জিকেএস