দেশজুড়ে

মৌলভীবাজারে দু’দিনে ২০০ টিলায় ধস, চা শ্রমিকের মৃত্যু

ভারি বর্ষণে মাটি নরম হয়ে গত দুদিনে মৌলভীবাজারের জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় ২০০টি টিলা ধসে পড়েছে। এতে বড়লেখায় অর্জুন বুনার্জি (৬৫) নামের এক চা শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। পৃথক ঘটনায় আহত হন অন্তত তিনজন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মধ্যে রাত থেকে মৌলভীবাজারের সবকটি উপজেলায় শুরু হয় ভারি বর্ষণ। স্মরণকালের এ বর্ষণে জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় শুক্রবার থেকে শুরু হয় টিলাধস।

শনিবারে পৃথক দুটি টিলাধসের ঘটনা ঘটে। এতে বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুর আয়েশা চা বাগানের শ্রমিক অর্জুন বুনার্জি নিহত হন। এ সময় আহত হন একজন।

একইদিনে জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ি গ্রামে টিলাধসে মাটিচাপা পড়ে ১০টি গবাদি পশু মারা যায়। এ ঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন।

রোববার বড়লেখার শাহবাজপুর গ্রামের বাসিন্দা ওসমান আলী (৬০) বলেন, ‘বৃষ্টি হয়, কিন্তু এত ভারি বৃষ্টি জীবনে দেখিনি। ফলে ব‍্যাপকহারে ধস নামা শুরু হয়েছে।’

এদিকে জুড়ী উপজেলার লাটিটিলার বাসিন্দা খুরশেদ আহমদ বলেন, টিলাধসে জুড়ীর সঙ্গে দিলখুশ চা বাগানসহ কচুরগুলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। টিলাধস অব‍্যাহত আছে।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ভারি বৃষ্টিপাতে মাটি খুব বেশি নরম হয়ে বড়লেখা থানার পাশেই একটি টিলায় ধসের ঘটনা ঘটে।

শাহবাজপুরের টিলাধসের সত্যতা নিশ্চিত করে ওসি বলেন, পাহাড়ে বসবাসকারীদের সর্তক করায় প্রাণহানির ঘটনা তেমন ঘটেনি।

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খন্দকার মোদাচ্ছির বিন আলী জাগো নিউজকে বলেন, ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হলে আমরা সরকারের নির্দেশে ঝুঁকিপূর্ণ টিলার পাদদেশ ও উঁচু চূড়ায় বসবাসকারীদের সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করি। এতে বড় ধরনের প্রাণহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরা এক জরিপে দেখেছি দুদিনে জুড়ী ও বড়লেখায় ২০০টি টিলাধসের ঘটনা ঘটেছে।

আব্দুল আজিজ/এসজে/জিকেএস