ময়মনসিংহে লাইলী বেগম (৩৮) নামে এক নারীকে হাত-পা বেঁধে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলের প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৮ জুন) সন্ধ্যার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। লাইলী বেগম মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঈশ্বরদিয়া এলাকার আব্দুর রশিদের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা নিজেদের আত্মগোপন করেছেন বলে জানা গেছে। লাইলী বেগমের স্বামী আব্দুর রশিদ বলেন, ‘প্রতিবেশী খোকন ওরফে কাজল মিয়ার মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি ওই মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা চলতে থাকে। বিষয়টি মেয়ে জানতে পেরে রোববার আমার ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায়। তারা ফিরে না এলেও বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় মঙ্গলবার সালিশ হওয়ার কথা ছিল। সকাল ৮টার দিকে আমি কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলে মেয়ের মা কনা আক্ততার, চাচি নাসরিন, আসমা ও রুমা বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে একটি ঘরে নিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে বাড়িতে ফিরে দগ্ধ অবস্থায় লাইলীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করেন। সন্ধ্যার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাইলীর মৃত্যু হয়।’
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জাগো নিউজকে বলেন, মরদেহ ঢাকা থেকে আনার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আটজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। গ্রেফতারে একাধিক টিম কাজ করছে।
Advertisement
এ বিষয়ে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামাল জামাল বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। আমি জানার পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
মঞ্জুরুল ইসলাম/এসজে/এমএস