চাঁপাইনবাবগঞ্জকে আমের রাজ্য হিসেবেই চেনে সারাদেশের মানুষ। সুস্বাদু এ আম দেশের সীমানা ছাড়িয়ে এবার রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেলে বিমানযোগে হংকংয়ে রপ্তানি করা হয়েছে এক মেট্রিক টন আম্রপালি আম।
এর আগে বুধবার (৬ জুলাই) রপ্তানির জন্য আমের ওই চালান ঢাকায় পাঠানো হয়।
জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ব্যবসায়ী আহসান হাবিব ও খোকন এ আম রপ্তানি করেন। সম্প্রতি রাশিয়া ও সুইজারল্যান্ডে ল্যাংড়া ও হিমসাগর আম পাঠিয়েছেন তারা। এবার গেলো হংকংয়ে।
আম ব্যবসায়ী আহসান হাবিব বলেন, ‘অন্য চাষিদের তুলনায় আমাদের আম ভিন্ন। আমরা মুকুলের সময় থেকেই এমনভাবে পরিচর্যা করি, যা বিদেশে রপ্তানিযোগ্য। কোনো ক্রেতা একবার আম কিনলে পরের বছর পাঁচগুণ বেশি আম কিনবেন।’
তবে গত বছরের মতো এবার বেশি আম রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান এ ব্যবসায়ী।
এর কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধানত রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশে আম পাঠাই। কিন্তু এবছর রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের কাছ থেকে কিনছে না। আমরা জানতে পেরেছি ঢাকার বাদামতলীসহ দেশের বাজার থেকে আম কিনে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। তারা একধরনের প্রতারণা করেছেন আমাদের সঙ্গে।’
ব্যবসায়ী আহসান হাবিব আরও বলেন, ‘আমি প্রায় ৩০ বিঘার জমির বাগানের আম বিদেশে রপ্তানিযোগ্য করে উৎপাদন করেছি। এ আমগুলো এখন আমাকে দেশের বাজারে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিডেটের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম জাগো নিউজকে বলেন, ‘এবছর আম্রপালি, খিরসাপাতসহ কয়েক ধরনের প্রায় ৫০ মেট্রিক টন আম ইংল্যান্ড পাঠিয়েছি। আশা করছি আরও ৩০ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করতে পারবো। আমাদের আম ফ্রুট ব্যাগিং, রপ্তানিযোগ্য ও সম্পূর্ণ কেমিক্যালমুক্ত।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শষ্য) রাজিবুর রহমান বলেন, এবছর প্রায় ৩০ মেট্রিক টন আম ইতালিসহ বেশকিছু দেশে রপ্তানি করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কত মেট্রিক টন আম রপ্তানি হবে বলা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, বিদেশে আম পাঠানোর জন্য কৃষি বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা করছে।
সোহান মাহমুদ/এসআর/জেআইএম