দেশজুড়ে

জামালপুরে জমে উঠেছে গো খাদ্যের বাজার

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানি পশু কেনা প্রায় শেষ হয়েছে। তবে জমে উঠেছে গো খাদ্যের বাজার। হাট-বাজারে গো খাদ্যের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা।

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা যায়, গো খাদ্যের বাজারে মানুষের ভিড়। ক্রেতারা আসছেন। ঘাসসহ বিভিন্ন গো খাদ্য কিনে বাড়ি যাচ্ছেন অনেকে।

বিক্রেতারা জানান, করোনার প্রকোপ কাটিয়ে ব্যবসায় ফিরতে পেরে এখন অনেক খুশি। ঈদকে ঘিরে এ ব্যবসায় প্রসার হয়েছে। তারা প্রতিদিন ৮-১০ হাজার টাকার কাঁচা ঘাস বিক্রি করছেন কেউ কেউ।

দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার চুনিয়াপাড়া এলাকার তালেব নামের এক ব্যবসায়ী জানান, ১৭-১৮ বছর ধরে ঘাস বিক্রি করে পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। সংসারে স্ত্রী, দুই ছেলে-মেয়েসহ বৃদ্ধ মা রয়েছেন। এর আগে অন্য পেশায় নিয়োজিত থাকলেও বর্তমানে ঘাস বিক্রি করে তিনি খুব ভালোভাবে তার সংসার চালাচ্ছেন। দৈনিক ৪-৫ হাজার টাকার ঘাস বিক্রি হয়। ঈদে একটু বেশি বিক্রি হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এ ঘাস ক্ষেতে আবাদ হয়। তারপর আমরা ক্ষেত থেকে কিনে বাজারে বিক্রি করি। প্রতি আটি ৬-৭ টাকায় বিক্রি করি আমরা।

বাবুল নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, কোরবানি পশু কেনার পাশাপাশি মানুষ গো খাদ্য কিনছেন। প্রতিদিন ৫-৭ হাজার টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে ১০-১২ হাজার টাকা বিক্রি হয়। ঘাস বিক্রির টাকা দিয়ে বাবা-মা, স্ত্রী সন্তানের রুটি রুজির ব্যবস্থা হচ্ছে।

দেওয়ানগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মাহমুদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে তদারকি করা হচ্ছে।

দেওয়ানগঞ্জ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আতিকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, গো খাদ্য চাষে সর্বদাই আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছি। এ ধরনের প্রোগ্রাম সর্বদাই চলমান বলে জানান তিনি।

মো. নাসিম উদ্দিন/আরএইচ/এএসএম