পটুয়াখালীর কোরবানির হাটে বাহারি নামে বড় বড় আকারের গরু উঠলেও এসব গরুর তেমন একটা বেচাবিক্রি নেই বললেই চলে। গত কয়েকদিন জেলার বিভিন্ন হাটে ছোট ও মাঝারি গরুর ভালো বেচাবিক্রি হলেও বড় গরুর বিক্রি হয়েছে নামমাত্র। এ কারণে যেসব খামারি এবং ব্যাপারীরা হাটে বড় গরু নিয়ে এসেছেন তারা অনেকটাই হতাশ।
জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলায় এবার ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৮১টি পশুর হাট বসেছে। শনিবার (৯ জুলাই) শহরের হেতালিয়া বাঁধঘাট পশুর হাটে দেখা যায়, সেখানে বেশকিছু বড় আকারের গরু উঠেছে। এখানে দুই থেকে চার লাখ টাকা দামের গরু এনেছেন খামারি ও ব্যাপারীরা। কিন্তু অনেক গরু আছে যার দামই কেউ বলেননি।
বিক্রেতারা জানান, হাটে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা দামের গরু বিক্রি হচ্ছে। এর বেশি দামের কোনো গরু কেউ কিনছেন না।
পটুয়াখালী জেলা ডেইরি ফামার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, আমি দুটি গরু হাটে এনেছি। একটি সাড়ে তিন লাখ আর অন্যটি দুই লাখ টাকা দাম চেয়েছি। ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরু দুটি অনেক ক্রেতা আগ্রহ করে দেখলেও প্রকৃত অর্থে তেমন কেউ দাম বলেননি। আমার পরিকল্পনা ছিল লালনপালন করতে যা খরচ হয়েছে সে দাম পেলেও বিক্রি করবো কিন্তু এখন পর্যন্ত তা হয়নি।
খামারিদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু জেলাশহর পর্যায়ে বড় গরু কেনার ক্রেতা কম সেজন্য একটি বড় গরু পালন না করে ছোট কিংবা মাঝারি সাইজের কয়েকটি পালন করলে খামারিরা লাভবান হতে পারবেন।
পটুয়াখালী শহরের কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা আবু তাহের ইমরান বলেন, গরুর দাম অনেক বেশি। গত বছর ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকায় যে গরু কেনা যেত সেই গরুর দাম এখন ৬৫ হাজার টাকা। একটু ভালো গরু কিনতে চাইলে লাখ টাকার ওপর মূল্য দিতে হচ্ছে।
আব্দুস সালাম আরিফ/এমআরআর/এএসএম