ঈদের দ্বিতীয়দিনে পটুয়াখালী শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান এবং বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের পদচারণা বেড়েছে।
সোমবার (১১ জুলাই) বিকেল থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শেখ রাসেল শিশুপার্ক, ঝাউতলা, নতুন লেকসহ পটুয়াখালী ব্রিজ ও লেবুখালী ব্রিজে বিভিন্ন বয়সী লোকজন ঘুরতে এসেছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে বের হওয়া মানুষের মধ্যে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে।
পটুয়াখালী শহরের শেখ রাসেল শিশুপার্কের প্রতিটি রাইডের সামনেই শিশু-কিশোর এবং অভিভাবকদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। শহরে শিশুদের বিনোদনের অন্য কোথাও খুব একটা সুযোগ না থাকায় অভিভাবকরা এখানেই ভিড় জমিয়েছেন। টিকিট কেটে সবাইই দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয়েছে।
শহরের সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা মোখলেছুর রহমান বলেন, মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে আসলাম। আর কোথায় তো যাওয়ার যায়গা নেই। শিশুপার্কে অনেকগুলো রাইডে উঠলাম। তবে ভিড় সামলে উঠতে হয়েছে।
এদিকে, শহরের নতুন লেক পাড়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। পটুয়াখালী পৌরসভা এক সময়ের মরা এই খালটিকে এখন দৃষ্টিনন্দন লেকে পরিণত করেছে। দর্শনার্থীদের জন্য লেক পাড়ে বসানো হয়েছে বেঞ্চ। আর স্বল্প আলো যখন লেকের পানিতে পড়ে তখন এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
অপরদিকে শহরের ঝাউতলার চারলেন সড়কেও বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। বিশেষ করে প্রশস্ত ওয়াকওয়েতে অনেকেই প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
শহরের অদূরে পরিত্যক্ত কৃষি বিমান অবতরণকেন্দ্রেও সাধারণ মানুষের জমায়েত দেখা গেছে। আর নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেকেই পটুয়াখালী সেতু এবং পায়রা সেতুতে উঠে ছবি তুলতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন।
এসব দর্শনীয় স্থানে পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পরার মতো।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সবাই যাতে নির্বিঘ্নে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আব্দুস সালাম আরিফ/এমআরআর/এএসএম