দেশজুড়ে

শুক্রবারেও পা ফেলার জায়গা নেই কুয়াকাটা সৈকতে

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। এবার ঈদুল আজহার ছুটিতে এ সৈকতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের দেখা মিলেছে। যা সম্ভব হয়েছে পদ্মা সেতুর কারণে।

শুক্রবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকেই সৈকতে আনন্দে মেতেছেন হাজার হাজার পর্যটক। গত ১২ জুলাই থেকে পর্যটকদের আগমন শুরু হয় এ পর্যটন কেন্দ্রটিতে।

লম্বা এই ছুটিকে কেন্দ্র করে অগ্রিম বুকিং করা হয়েছিল কুয়াকাটার সব হোটেল-মোটেল। তাই আগে বুকিং না দিয়ে আসা পর্যটকদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। এমনকি রুম না পেয়ে ফিরে যাওয়ার মতো বিড়ম্বনায়ও পড়েছেন অনেকে।

পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পদ্মা সেতু হয়ে কুয়াকাটা ভ্রমণ এখন অতি সহজ এবং আনন্দদায়ক যে কারণে পর্যটকরা এই সৈকতে ভ্রমণের জন্য এসেছেন।

হোটেল সমুদ্রবিলাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. ইসমাইল ইমন জাগো নিউজকে বলেন, গত চারদিন পর্যন্ত আমাদের হোটেল শতভাগ বুকিং তাই পর্যটকরা যদি অগ্রিম হোটেল বুকিং করে আসে তাহলে ভোগান্তিতে পরবে না।

তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার পর আমরা বেশ লাভবান এখন, গত করোনাকালীন লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো বলে মনে হচ্ছে।

কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে কুয়াকাটা আগত পর্যটকদের ধারা অব্যাহত থাকবে। পর্যটকদের জন্য বিনোদনের স্থান বৃদ্ধি ও উন্নতমানের স্থাপনা তৈরিতে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা। আশাকরি এই সংকট আর থাকবে না।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, অতিরিক্ত পর্যটক হওয়ায় আমরা ট্যুরিস্ট পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করছি পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/জেএস/জিকেএস