বাংলাদেশের জলসীমানায় প্রবেশ করে অবৈধভাবে মাছ শিকারের দায়ে ভারতীয় ১৬ জেলেসহ ১টি মাছধরা ট্রলার আটক করেছে মোংলা জোন নৌ-বাহিনী। পরে পায়রা বন্দর নৌ-পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রাত ১২টায় পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের ফেয়ার বয়া হতে ৩৫ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ অংশের গভীর সমুদ্র থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে বুধবার সন্ধ্যায় তাদের ট্রলারসহ পায়রা বন্দর নৌ-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটক জেলেদের বাড়ি ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা প্রদেশে। তারা হলেন- হরলাল দাস (৫০), ব্রিটিশ দাস (৪৮), পঙ্কোজ দাস (২৬), রাজা দাস (২২), স্বপন দাস (৪৮), জগবন্ধু দাস (৬২), আপন দাস (৬০), হৃদয় দাস (২৭), দীপক দাস (৩০), শুনিল দাস (৪৭), জয় হরিদাস (৪৫), সত্য লালদাস (২৫), রনজিত (২৪)। আর নদিয়া জেলার গোপাল পাল (৩৯), হরিদাস (৩২) ও সমির (৫০)।
নৌ-বাহিনী জানায়, গতকাল রাতে তাদের জাহাজ নিয়ে গভীর সমুদ্রে টহল দিচ্ছিলো। এ সময় বাংলাদেশের জলসীমানায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করছিলো ভারতীয় ৫ থেকে ৬টি ট্রলার। পরে তাদের ধাওয়া দিয়ে মা ত্রিপুরা সুন্দরী নামের একটি ট্রলারসহ ১৬ জেলেকে আটক করা হয়।
মোংলা জোনের বানৌজা গোমতী জাহাজের অধিনায়ক কমান্ডার আরিফ হোসেন জানান, গভীর সাগরে টহলকালে তাদের ধাওয়া দিয়ে ট্রলারসহ আটক করা হয়েছে। পরে বুধবার সন্ধ্যায় তাদের পায়রা বন্দর নৌ-পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটকদের নামে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পায়রা বন্দর নৌ-পুলিশের ওসি মোমেনুর রহমান জানান, নৌ-বাহিনীর সদস্যরা ইন্ডিয়ান একটি ট্রলারসহ ১৬ জেলেদের আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা কলাপাড়া থানা পুলিশের কাছে এসব জেলেদের সোপর্দ করবো। এ ঘটনায় নৌ-বাহিনী বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম জানান, ভারতীয় জেলেসহ ট্রলার আটকের খবর পেয়েছি। পায়রা বন্দর নৌ-পুলিশ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এমআরএম