নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে শনিবার থেকে সাগরে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুত পটুয়াখালীর জেলেরা। জাল ও নৌকা প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এদিকে মৎস্য বিভাগ বলছে ৬৫ দিনের অবরোধের ফলে দেশের মৎস্য সম্পদের ভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় পটুয়াখালীর ৪৮ হাজার জেলে পরিবারকে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ জেলেরা এ নির্দেশনা মেনে চলেছেন।
অবরোধের সময় মৎস্য অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, নৌ-পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও নৌ-বাহিনীর সদস্যরা ২১০টি অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ৪৮টি নৌযান আটক করা হয়। এছাড়া আইন অমান্য করে মাছ শিকার করায় জেলেদের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকার বেশি জরিমানা আদায় করা হয়।
পটুয়াখালীর মহিপুর, আলীপুর, রাঙ্গাবালীর চালিতাবুনিয়া, গজালিয়া, গলাচিপার পানপট্টিসহ দশমিনা ও বাউফলের বিভিন্ন মৎস্য বন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব এলাকার সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলারগুলো এখন পরিষ্কারের কাজ চলছে। প্রতিটি ট্রলারেই মাঝি-মাল্লা কিংবা জেলেরা আরও দুই এক দিন আগেই হাজির হয়েছেন।
রাঙ্গাবালী উপজেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মোশারফ হোসেন জানান, সাগরে মাছ শিকারে প্রতিটি ট্রলার সাধারণত সাত থেকে ১০দিন সাগরে অবস্থান করে। এ সময় ট্রলারের জ্বালানি, জেলেদের খাবার, পানি, মাছ মজুত করার জন্য বরফসহ আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্র নিয়ে সাগরে যেতে হয়। এ কারণে এ সময় এক থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ করে রওনা দিতে হয়। ভাগ্য ভালো হলে লাখ টাকার মাছ নিয়ে বন্দরে ফিরতে পারেন আর ভাগ্য খারাপ হলে খালি হাতেই অনেক ট্রলারকে ঘাটে ফিরতে হয়।
পটুয়াখালীতে প্রায় ৬৮ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। যাদের অধিকাংশই সাগরে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এছাড়া জাল ও ট্রলার তৈরি, মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ, বরফকলসহ এ সংশ্লিষ্ট পেশায় আরও কয়েক লাখ মানুষ সরাসরি জড়িত। ফলে আগামী ২৪ জুলাই থেকে আবার মৎস্য বন্দর ও মাছ ঘাট সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
আব্দুস সালাম আরিফ/আরএইচ/জিকেএস