রেলওয়েতে আমূল পরিবর্তন আনতে শিগগিরই রেল বহরে যোগ হচ্ছে ১৫০টি নতুন বগি। এরমধ্যে ১০০টি মিটার গেজ এবং ৫০টি ব্রড গেজ বগি রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হকের উপস্থিতিতে এসব বগি কেনার বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. তাফাজ্জল হোসেন এবং ইনকা পিটি’র প্রেসিডেন্ট ডাইরেক্টর আর আগস এইচ পুরনোমো স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।চুক্তি অনুযায়ী ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম’-এর আওতায় বাংলাদেশ সরকার ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে এসব বগি সরবরাহ করবে ইন্দোনেশিয়ান প্রতিষ্ঠান ইনকা পিটি।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে বরাবরই অবহেলিত ছিল। চার-দলীয় জোট ক্ষমতায় থাকাকালে রেলওয়েতে নজর দেয়নি। বর্তমান সরকার রেলের উন্নয়নে বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গৃহীত এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে আগামী চার বছরে রেলে নতুন গতি আসবে। তখন উন্নত দেশের কাছাকাছি সেবা দেয়া সম্ভব হবে।তিনি বলেন, সরকার রেলের উন্নয়নে ইতোমধ্যে ৪১টি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সরকারের আগামী চার বছরে প্রকল্পগুলো পুরোপুরি সমাপ্ত হলে রেলওয়েতে আমূল পরিবর্তন আসবে। যাত্রী সেবার লক্ষ্যকে সামনে রেখে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবৎ রেলওয়ে কোচ সংকটে ভুগছে। চুক্তি অনুযায়ী কোচগুলো হাতে পেলে এ সংকট অনেকটাই দুরীভুত হবে।রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, একশ’টি মিটারগেজ বগির জন্য ৩৪৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং ৫০টি ব্রডগেজ কোচের জন্য ২১৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা খরচ হবে। আগামী ২০ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে এসব বগি বাংলাদেশকে সরবরাহ করবে ইন্দোনেশিয়ান সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।সূত্র আরও জানায়, বাংলাদেশে বর্তমানে ১ হাজার ১৮২টি মিটারগেজ এবং ৩২৪টি ব্রডগেজ কোচ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৪৫৬টি মিটারগেজ এবং ৭৮টি ব্রডগেজ কোচের ‘অর্থনৈতিক জীবন মেয়াদ’ শেষ হয়ে গেছে। রেলওয়েতে ৩৫ বছরের বেশি বয়স হলেই সংশ্লিষ্ট কোচের মেয়াদ শেষ বলে ধরা হয়।অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ইয়ান উইরানাতা আতমাতজা রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মনসুর আলী শিকদার ও আওয়ামী লীগের বাণিজ্য সম্পাদক আবদুস সাত্তারসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। -বাসসআরএস