দেশজুড়ে

মোবাইলের আলোয় বেচাকেনা

মানতে হবে সরকারের বিধিনিষেধ। আবার পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু ভালো থাকতে কিছুটা বাড়তি সময় কাজও করতে হবে। তাইতো সরকারের বিধিনিষেধ আর নিয়মনীতির মধ্যে থেকেই রাত ৮টার পর মোবাইলের আলোয় পুরোদমে বিকিকিনি করতে দেখা গেছে পটুয়াখালী শহরের নিউমার্কেট এলাকার মাছ ব্যবসায়ীদের। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ঘড়ির কাঁটায় তখন ঠিক রাত ৮টা। বৈদ্যুতিক বাতির আলো বন্ধ করে দেওয়া হলো। একের পর এক মাছবিক্রেতা পকেট থেকে বের করতে থাকেন ফোন। মোবাইলের টর্চলাইট জালিয়ে আবারও সবাই মাছ বিক্রি এবং মাছ কাটার কাজ শুরু করলেন।

প্রতিদিন রাত ৮টার পর এভাবেই বেচাকেনা চলছে পটুয়াখালীল মাছের বাজারে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানতে রাত ৮টা বাজলেই বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ করে দিয়ে মোবাইলের আলোয় বেচাকেনা করছেন মাছবিক্রেতারা।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যার পর অনেক ক্রেতা বাজার করতে আসেন। বিশেষ করে যারা সারাদিন ব্যস্ততার কারণে বাজার করতে পারেন না, তারা রাতেই বাজার করেন। এখন যেহেতু সন্ধ্যা হয় ৭টায়, সেজন্য লোকজন আসতে না আসতেই রাত ৮টা বেজে যায়। এমন পরিস্থিতিতে রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত মোবাইলের আলোয় চলে মাছ বাজারের বেচাকেনা।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে পটুয়াখালী নিউমার্কেট বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাছের দোকানগুলোতে মাচার ওপরে মোবাইল ফোনগুলো এমনভাবে রাখা হয়েছে যাতে মোবাইলের টর্চলাইটের আলো সরাসরি নিচে রাখা মাছের পাত্রে পড়ে। আবার যারা মাছ কাটাকাটির কাজ করছেন তারাও বঁটি বরাবর মোবাইলগুলো তাক করে রেখেছেন। পাশাপাশি অনেক ক্রেতাকে তাদের মোবাইল ফোন বিক্রেতার দিকে তাক করে সহযোগিতা করতে দেখা গেছে।

নিউমার্কেটের মাছবিক্রেতা রনত জাগো নিউজকে বলেন, ‘মাছ এবং সবজি যেহেতু সবসময় প্রয়োজন হয় সে কারণে আমাদের অন্তত রাত ১০টা পর্যন্ত বৈদ্যুতিক বাতি জালিয়ে বিক্রি করার সুযোগ দিলে ক্রেতা-বিক্রেতা সবার জন্য উপকার হয়। যেহেতু সরকার নিয়ম করেছে ৮টায় দোকান বন্ধ করতে হবে, সে কারণে আমরা ৮টায় বাতি বন্ধ করে মোবাইল জ্বালিয়ে দোকানদারি করছি।’

আব্দুস সালাম আরিফ/এসআর/এএসএম