দেশজুড়ে

পদ্মায় বিলীন ৪৬ বসতঘর, হুমকির মুখে কয়েকটি গ্রাম

সীমান্তঘেঁষা চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পদ্মাসহ সব নদীতে পানি বাড়ছে। এতে কিছু স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে ৪৬টি বসতঘর। এ অবস্থায় আতংকিত প্রায় তিন গ্রামের মানুষ।

রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের মনোহপুরের কুপপাড়া গ্রামের গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাপ-দাদার আমল থেকেই এই গ্রামে আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি রয়েছে। কিন্তু কয়েক বছর থেকেই পদ্মার ভাঙনে তা তলিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এই এলাকা ছাড়া আর কোথাও জমি নেই। তাই অন্য কোথাও গিয়ে বাড়ি করতে পারছি না। সম্প্রতি আমার বাড়ি নদীতে তলিয়ে গেছে। প্রাণ বাঁচাতে পরের জামিতে একটি টিনের ঘর তুলেছি। কিন্তু এভাবে আর কতদিন?’

আরেক বাসিন্দা মো. সইবুর বলেন, ‘এক মাস আগে থেকেই গ্রাম ভাঙতে শুরু করেছে। অনেক মানুষ বাড়ি ভেঙে অন্য জায়গায় গিয়ে বাড়ি করেছেন। তিন গ্রামের মানুষ ভাঙন আতংকে রয়েছেন।’

ভাঙনের কবল থেকে বাঁচতে মনোহপুরের কুপপাড়া থেকে বাড়ি ভেঙে মুন্সিপাড়ায় ঘর তুলেছেন তবজুল। তিনি বলেন, এ এলাকায় নদীভাঙন নতুন কিছু না। এরআগেও কয়েকবার ভাঙন থেকে বাঁচতে আগের ভিটেমাটি ছেড়ে এসেছি।

দুর্লভপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজিব বলেন, ভাঙনকবলিত এলাকার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকা মোতাবেক অনুদান দেওয়া হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ময়েজ উদ্দিন বলেন, উপজেলার দুর্লভপুর ও পাকা ইউনিয়নের ১০ কিলোমিটার এলাকা ভাঙনের কবলে পড়েছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করা হয়েছে। মনোহরপুরের বাকি ভাঙনকবলিত এলাকা নিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করি খুব শিগগির কাজ শুরু হবে।

সোহান মাহমুদ/এসআর/জিকেএস