বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও জোয়ারের প্রভাবে ঝালকাঠির সুগন্ধা, বিষখালী, গাবখান, ধানসিঁড়িসহ জেলার সব নদীর পানি বেড়েছে। বুধবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকে সুগন্ধা-বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদীতীরের জনপদ ও চরাঞ্চল দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে ঝালকাঠি সদরের মির্জাপুর, ভাউতিতা, সাচিলাপুর, চরভাটারাকান্দা; রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া, নিজামিয়া, পালট, বাদুরতলা ও নলছিটি উপজেলার বারইকরণ, সরই, নাচনমহল, ভবানিপুর, কাঠালিয়ার আমুয়া, পাটিকালঘাটাসহ জেলার নিম্নাঞ্চলের অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আমনের বীজতলা ও রোপা আমন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানের বরজ ও কৃষির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
স্থানীয়রা বলছেন, বিষখালী নদীর বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলেই নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। এতে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের।
চলতি মৌসুমে জেলায় ৪৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্র রয়েছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জোয়ারে কিছুটা পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এতে কৃষির কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে না। পালট গ্রামের কৃষক আব্দুল সালাম বলেন, ‘নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ফসলের ক্ষেত তলিছে। এমনকি বসঘরেও পানি উঠেছে।’
সুগন্ধা নদীতীরের বাসিন্দা রাবেয়া বেগম বলেন, পানি বাড়লেই আমাদের বসতঘর তলিয়ে যায়। ভোগান্তির শেষ থাকে না। নদীর পাড়ে উঁচু করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলে আমাদের উপকার হবে।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হাসান জানান, জেলার সবকটি নদীর পানি বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
আতিকুর রহমান/এসআর/এএসএম