দেশে এখন মানুষ মারার উন্নয়ন চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর।
Advertisement
তিনি বলেন, আজ উন্নয়নের গার্ডার পড়ে মানুষ মরে, আগুনে পুড়ে মানুষ মরে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে, তদন্ত কমিটি করা হয়। বলা হয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই গতানুগতিক কথার মধ্যেই শেষ। কোনো প্রতিকার নেই।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন গণ অধিকার পরিষদের এই সদস্য সচিব।
সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। এসময় নাটোরে যুব অধিকার পরিষদের নেতা নুরশাদ প্রামাণিককে হত্যার প্রতিবাদে প্রতীকী লাশের মিছিল হয়।
Advertisement
সমাবেশে রাজধানীর চকবাজারের দেবীদাসলেনে আগুনে নিহত ছয়জনের প্রসঙ্গ টেনে নুরুল হক নুর বলেন, ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলী ট্র্যাজেডির পর সেখান থেকে কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা হয়নি। বনানীর এফআর টাওয়ার অগ্নিকাণ্ডের পর বহুতল ভবনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিতের কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত ঢাকার বেশিরভাগ ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। কারণ এদেশে আইন প্রণেতারাই আইন মানেন না।
১৩ বছরে ছয় শতাধিক মানুষকে গুম করা হয়েছে দাবি করে নুর বলেন, এখনো শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। অর্ধশতাধিক মানুষের লাশ পাওয়া গেছে।
নুর জানান, নুরশাদ প্রামাণিক জুয়ার প্রতিবাদ করায় যুবলীগের কর্মীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন বলেন, সরকারের উন্নয়নে মহাসড়ক এখন লাশ, গুম, খুন ও নৈরাজ্যের মহাসাগরের পরিণত হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় নাটোরে যুব নেতা নুরশাদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
Advertisement
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসান, আবু হানিফ, মাহফুজুর রহমান, যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুজ জাহের, তারেক রহমান, মশিউর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
এএএম/জেডএইচ/জেআইএম