টানা ১২ দিন আন্দোলনের পর কিছু কিছু বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণের আগ পর্যন্ত ১২০ টাকা মজুরিতেই কাজ করবেন তারা। তবে জেলার বেশ কয়েকটি বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। লেবার হাউজে গিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
হবিগঞ্জের কামাইছড়া বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি বিমল ভর জানান, শ্রমিকদের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করে তারপর কাজে যোগ দেবেন তারা। আগের মজুরিতেই কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।
চা-শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা কাঞ্চন পাত্র বলেন, চানপুর চা বাগানের শ্রমিকরা এখনও কাজে যোগ দেয়নি। অনেক বাগানেই শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে শ্রমিকরা জড়ো হচ্ছেন। কাজে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
দাড়াগাঁও বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি প্রেমলাল আহির বলেন, শ্রমিকরা জড়ো হচ্ছেন। আমরা লেবার হাউজে যাচ্ছি। পঞ্চায়েত ইউনিয়নের নির্দেশে চলে। আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। তবে আন্দোলন আর হবে না।
এর আগে দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে ৪ দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি করেন চা-শ্রমিকরা। এরপর ১৩ আগস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। এর মধ্যে কয়েক দফায় বৈঠক হলেও সেটি সমাধান হয়নি।
শেষে গত শনিবারের বৈঠকে শ্রমিকদের মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হলে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। পরে শ্রমিকরা এ মজুরি মানেন না জানিয়ে ফের আন্দোলনে নামেন।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/আরএইচ/জিকেএস