দেশজুড়ে

‘ত্রাণ চাই না, নদী ভাঙনরোধে স্থায়ী সমাধান চাই’

কুড়িগ্রামের উলিপুরে নদী ভাঙন প্রতিরোধ, টি-বাঁধ নির্মাণ ও স্থায়ী সমাধানের দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বজরা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর পাড়ে এলাকাবাসীর উদ্যোগে নদী ভাঙন প্রতিরোধ ও স্থায়ী সমাধানের দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরদার, বজরা দারুল উলুম ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার সুপার আবু ইয়াহিয়া, বজরা সিনিয়র মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আবু জার গিফারী, ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য এনামুল হকসহ ভাঙন কবলিত এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারা জয়নাল হোসেন বলেন, আমাদের ঘরবাড়ি, মসজিদ, মাদরাসাসহ হাসপাতাল, ক্লিনিক সব নদীতে চলে গেছে। বাকি যেটুকু গ্রাম আছে যেভাবে ভাঙছে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এই ভাঙনে সব নদীর পেটে চলে যাবে।

বজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম বলেন, বজরা ইউনিয়নের পশ্চিম বজরায় গত কয়েকদিনে সাদুয়া দামার হাট ও কালাপানি বজরা গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি, আধা কিলোমিটার পাকা রাস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা এলাকাবাসী ত্রাণ চাই না, ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা চাই। অবিলম্বে তিস্তা নদী ভাঙন প্রতিরোধ, টি-বাঁধ নির্মাণ ও স্থায়ী সমাধানের জোর দাবি জানাচ্ছি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নদী ভাঙনের তীব্রতার কারণে আপদকালীন প্রকল্পের মাধ্যমে ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়, তবুও আমরা কাজ করছি। বজরা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ভাঙন রোধে প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে স্থায়ী সমাধান হবে।

কয়েকদিনের তিস্তা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে পশ্চিম বজরা কমিউনিটি ক্লিনিক, পশ্চিম বজরা জামে মসজিদ, পশ্চিম বজরা হাট, পশ্চিম কালপানি বজরা জামে মসজিদ, পশ্চিম বজরা দাখিল মাদরাসাসহ একটি ঈদগাহ মাঠ, ব্র্যাক প্রি-প্রাইমারি স্কুল, পুরাতন বজরা কালী মন্দিরসহ ১০ একর আবাদি জমি, আধা কিলোমিটার পাকা সড়ক ও বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

এমআরআর/জেআইএম