দেশজুড়ে

হত্যা মামলায় জামিন চাইতে এসে কারাগারে চেয়ারম্যান

ইউপি সদস্য হত্যা মামলায় নরসিংদী সদর উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পিন্টু ও তার ভাই মনিরুজ্জামান খানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোস্তাক আহাম্মেদ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর এজলাস থেকে বের হয়েই মামলার বাদী নিহতের ছেলে সুজন সূত্রধরকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত ইউসুফ খান পিন্টু হাজিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত সুজিত সূত্রধর ইউপি সদস্য থাকাকালে পরিষদের চাল ও গম বিতরণের অনিয়মসহ নানা বিষয় নিয়ে হাজিপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান পিন্টুর সঙ্গে বিরোধ ছিল। বিরোধের জের ধরে পিন্টু চেয়ারম্যানের নামে একাধিক মামলা করেন সুজিত। মামলার জের ধরে সুজিতের ওপর একাধিক হামলার ঘটনা ঘটে।

চলতি বছরের ২২ জুন সন্ধ্যার পর ইউপি সদস্য সুজিত সূত্রধর বাড়ি থেকে হাজিপুর কাঠবাজারের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। দোকানে ছেলের সঙ্গে ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করেন। রাত ৮টার দিকে পিন্টুর ভাই মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুজিতকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তার ছেলে সুজন ও দোকানের কর্মচারীরা বাধা দিতে গেলে তাদেরও পিটিয়ে আহত করে। পরে গুরুতর আহত সুজিতকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় চেয়ারম্যান পিন্টুসহ ১৬ জনের নামে হত্যা মামলা করেন নিহত সুজিতের ছেলে সুজন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার অভিযুক্তরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আগাম জামিন নিতে এলে আদালত পিন্টু ও তার ভাই মনিরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার বাদী সুজন বলেন, ‘জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর এজলাস থেকে বের হয়েই ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই মনিরুজ্জামান খান আমাকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন। একই সঙ্গে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়াসহ আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ সসময় সংবাদকর্মীরা ছবি তুলতে গেলে তাদেরও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

কোর্ট পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ইউপি সদস্য হত্যা মামলায় চেয়ারম্যানসহ দুজন আগাম জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সঞ্জিত সাহা/এসজে/এমএস