নরসিংদীর ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বরে উৎপাদন শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে সার কারখানাটি নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ও সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব সার কারখানা ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার’ প্রকল্পটির কাজ এরই মধ্যে ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। আশা করা যায়, ২০২৩ সালের নভেম্বরের মাঝেই এই কারখানা থেকে উপাদান শুরু সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, নতুন এই সার কারখানাটির উৎপাদন শুরু হওয়ার মাধ্যমে ইউরিয়া সারের ওপর প্রতিবছর আমরা যে ভর্তুকি দিয়ে থাকি তা অনেকাংশেই কমে যাবে। ফলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি ইউরিয়া সার আমদানির ওপর নির্ভরতা হ্রাস পাবে। এতে করে কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বৃদ্ধি পাবে এবং দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এই কারখানা থেকে প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন সার উৎপাদিত হবে। ফলে পাঁচ থেকে ছয় লাখ মেট্রিক টন সার কম আমদানি করতে হবে। যা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।
এসময় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিআইসির চেয়ারম্যান শাহ মো. ইমদাদুল হক, প্রকল্প পরিচালক রাজিউর রহমান মল্লিক, জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠানসহ কারখানাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সঞ্জিত সাহা/এমআরআর/এএসএম