বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়ানি আদালতে মামলা করেছেন আবুল কালাম নামের এক ব্যবসায়ী।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলাটি আমলে নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে তাদের কারণ দর্শানোর (শোকজ) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে, মূল নথি তলব করেছেন বিচারক।
মামলার বাকি দুই বিবাদী হলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কাওসার উদ্দিন ও সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) নিজাম উদ্দিন।
মামলার বাদী আবুল কালাম জাগো নিউজকে জানান, বরগুনা শহরের এস এ অথবা আর এস খতিয়ানে রেকর্ডভুক্ত ৩২ একর জমি খাস খতিয়ানে নিয়ে একসনা বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এজন্য তারা আদালত এবং ভূমি অফিসে বেশ কয়েকটি মামলা দিয়েছেন স্থানীয় জমির মালিকদের বিরুদ্ধে, যারা ৭০ থেকে ১০০ বছর ধরে জমিতে বসবাস করছেন। তাদের রেকর্ড বাতিল করে শহরের সব জমি খাস খতিয়ান করার জন্য ভূমি অফিসে চিঠি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
তিনি আরও বলেন, তারা (পূর্ব পুরুষসহ) ৭০-১০০ বছর ধরে নির্বিঘ্নে খাজনা কর পরিশোধ করে বসবাস ও ব্যবসা করে আসছেন। তাদের জমি খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করা অবিচার।
এ বিষয়ে বরগুনার এসিল্যান্ড নিজাম উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘৩২ একর ভূমি খাস খতিয়ানে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সবাইকে একে এক নোটিশ দেওয়া হবে। আমার এখানে শুনানি হবে। পরে কেউ ক্ষুদ্ধ হলে এডিসি রাজস্ব অফিসে শুনানি করতে পারবেন। এরপর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে শুনানি হবে। সেখান থেকে ভূমি কমিশনেও যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।’
আদালতে মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আদালত আমাদের যে নির্দেশনা দেবেন তা আমাদের মানতে হবে। আদালত স্থগিত করলে আমরা প্রক্রিয়া বন্ধ রাখবো।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আদালত থেকে এখনো কোনো নোটিশ পাইনি। আদালত আমাকে নোটিশ দিলে আদালতের মাধ্যমে তার জবাব দেবো।’
এম এ আজীম/এসআর/এমএস