বরগুনা পৌরশহরের কিছু এলাকার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে খাদ্য গুদামের সামনের সড়কে। সড়কটি ঘেঁষে ভাড়ানী খাল থাকায় বর্জ্যগুলো উপচে পড়ছে ওই খালে। খালটির খুব কাছেই খাকদোন নদীর সংযোগ। ওই বর্জ্য মিসে যাচ্ছে নদীর পানিতেও। এতে পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সড়কটি ধরে যাওয়া আসা ব্যক্তিরাও রয়েছেন ভোগান্তিতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে যেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে সেখানে একটি ভাগাড় ছিল। গতবছর উচ্ছেদ করা হয় ভাড়ানি খাল দখরদারদের। খালের জমিতে ভাগাড়টি থাকায় তা ভেঙে ফেলেন উচ্ছেদকারীরা। এরপর আগের নাব্য ফিরিয়ে খালটি খনন করা হয়। এতে বর্তমানে রাস্তা ঘেঁষে খালটি বয়ে গেছে। আগে যারা ভাগাড়টিতে বর্জ্য ফেলতেন তারা এখন রাস্তার ওপরেই বর্জ্য ফেলে রাখছেন। এতে দিনভর ভোগান্তি পোহাতে হয় রাস্তাটি ধরে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীদের।
বরগুনা জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী রায়হান রাফি জাগো নিউজকে বলে, ‘প্রতিদিন এই রাস্তা হয়ে বর্জ্যের ওপর দিয়ে হেঁটে স্কুলে যেতে হয়। বর্জ্যের দুর্গন্ধে অনেক সময় বিদ্যালয়ে ঢোকার আগেই বমি করে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফেরার পথেও একই ভোগান্তি।’
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক জুলফিকার জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রতিদিন রাস্তায় বর্জ্যের স্তূপ পড়ে থাকে। অনেক সময় এমনভাবে স্তূপ করে রাখা হয় যে রাস্তাটি ধরে কোনো যানবাহনই চলতে পারে না।’
বরগুনার পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কর্মী আরিফ রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে খাদ্য গুদামের সামনে যেভাবে ময়লা ফেলা হচ্ছে তা পরিবেশে মিশে যাচ্ছে। নদীর পানি দূষিত করছে। বাতাসও দূষিত হচ্ছে। এর একটি সমাধান হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে বরগুনার পৌরসভার মেয়র কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, খালটি খননের কারণে বর্তমানে বর্জ্য নিয়ে একটি ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। তবে শিগগির এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
এসআর/এএসএম