আইন-আদালত

চাঁদপুরে স্ত্রী-মেয়ে হত্যা: নাজমুলের মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল

চাঁদপুর মতলব দক্ষিণ উপজেলায় স্ত্রী হোসনে আরা ও নয় মাস বয়সী কন্যা সন্তান নাজনিন আক্তারকে হত্যার দায়ে নাজমুল হাসানকে (৩৫) দেওয়া বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

দণ্ডপ্রাপ্ত নাজমুল হাসান উপজেলার আশ্বিনপুর গ্রামের বড় বৈদ্য বাড়ির নুরুল আমিনের ছেলে।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ ও আসামির আপিল খারিজ করে বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। অন্যদিকে আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ। 

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১১টায় নাজমুল প্রথমে স্ত্রীকে হত্যা করে। পরে মেয়ে কান্নাকাটি করলে তাকেও একই কায়দায় হত্যা করে মরদেহ বাড়ির পাশে একটি পরিত্যাক্ত ঘরে মাটির নিচে পুঁতে রাখে। পরে ২৪ জুলাই মেয়ের সন্ধান চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন নাজমুলের শ্বশুর আবুল কাশেম। জিডির পর ওই দিনই নাজমুলকে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী হোসনে আরা ও মেয়ে নাজনিনকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেন নাজমুল। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সেখান থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতলব দক্ষিণ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান একই বছরের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. সালেহ উদ্দিন আহমদ আসামিকে নাজমুলকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামি আপিল করেন। ওই আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি নিয়ে এই রায় দেন হাইকোর্ট।

এফএইচ/জেএইচ/এএএইচ/এমএস