পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) স্ত্রী।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে দশমিনা থানা সংলগ্ন হারুন ফরেস্টারের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
বাড়ির মালিক হারুন ফরেস্টার জানান, ওই পুলিশ সদস্য স্ত্রীকে নিয়ে তার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। বিয়ের পর থেকে তাদের সন্তান না হওয়ায় তারা মানসিক দুশ্চিন্তায় থাকতেন। বিভিন্ন সময় তার স্ত্রী অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। এ নিয়ে অনেক চিকিৎসক ও কবিরাজ দেখিয়েও কোনো লাভ হয়নি। তবে তাদের মধ্যে পারিবারিক কোনো কলহ ছিল না। কাল রাতে তার স্ত্রী নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
দশমিনা হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার মিঠুন চন্দ্র হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, ওই নারীর শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি আগুনে পুড়ে গেছে। তাকে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে দশমিনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অনুপ দাস জাগো নিউজকে বলেন, ওই পুলিশ সদস্যের পারিবারিক কোনো সমস্যা ছিল না। এমনটা কেন করেছে এ বিষয়ে এখনো জানতে পারিনি। বর্তমানে ওই গৃহবধূ ঢাকা বার্ন ইনস্টিটিউটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
আব্দুস সালাম আরিফ/এসজে/জিকেএস