মৌলভীবাজারের রাজনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ায় রোগী ভর্তি বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে রোগী ভর্তি বন্ধ হয়ে গেলে ভোগান্তিতে পড়েন সেবাপ্রত্যাশীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১টা ২০ মিনিটে দিকে হঠাৎ আকস্মিক শব্দে কেঁপে ওঠে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এতে বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়। রড থেকে কংক্রিট আলাদা হয়ে যায়। এর মধ্যেও রোগী ভর্তি ও চিকিৎসাসেবা চালু থাকলেও বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। কেবল জরুরি বিভাগ চালু থাকলেও মিলছে না পর্যাপ্ত সেবা। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পেটের পীড়া নিয়ে রাজনগর হাসপাতালে এসেছিলেন গয়াসপুর গ্রামের মিজানুর রহমান। কিন্তু রোগী ভর্তি না নেওয়ায় তাকে বাড়িতে ফিরে যেতে হয়েছে। এছাড়া ভর্তি না হয়ে ফিরে গেছেন টিকরপাড়া গ্রামের রুবেল মিয়া ও দত্ত গ্রামের জুয়েল আহমেদ।
এ বিষয়ে হাসপাতালের নার্সদের সুপারভাইজার মারজানা বেগম বলেন, বিগত দিনগুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নার্সরা চিকিৎসা দিয়ে আসছিল। কিন্তু এখন ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় এখানে রোগী ভর্তি ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. লালা সৌরভ বলেন, আমরা কেবল এখানে জরুরি সেবা দিতে পারছি। অন্য কোনো সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, রোববার রাত ১টা ২০ মিনিটের দিকে হঠাৎ আকস্মিক শব্দে কেঁপে ওঠে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন। এমন অবস্থায় ডাক্তার-নার্সরা চিকিৎসা দিতে অনীহা প্রকাশ করলেও সাধারণ জনগণের স্বার্থে আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাই। কিন্তু পরবর্তীতে প্রকৌশলী ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করায় আমরা রোগী ভর্তি বন্ধ রেখেছি।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের স্বাস্থ্য প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম পাঠান বলেন, ভবনটি মাত্রাতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই যেকোনো সময় দুর্ঘটনা এড়াতে আমরা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছি।
আব্দুল আজিজ/এমআরআর/জেআইএম