আইন-আদালত

বিচারপতির সংবাদ সম্মেলন পৃথিবীতে নজিরবিহীন : খন্দকার মাহবুব

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানকি যেভাবেপ্রেসব্রিফিং করেছেন তা পৃথিবীতে নজিরবিহীন। তিনি বলেন, পাক-ভারত উপমহাদেশে তো নয়ই, পৃথিবীর কোথাও এমন কোনো নজির নেই যেখানে একজন বিচারপতি অবসরে যাওয়ার পরে সংবাদ সম্মেলন করেন।সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। তখন অবসরে যাওয়ার পরে বিচারপতিরা মানিকের মতো সংবাদ সম্মেল করতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।এদিকে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘আমাদের কোনো প্রাক্তন বিচারপতির এমন কোনো বক্তব্য দেয়া উচিত নয় যে বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিচার বিভাগ সম্পর্কে অন্যরকম ধারণা হতে পারে।’ সোমবার দুপুরে আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগর শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠান পরবর্তী সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এই কথা বলেন।মাহবুবে আলম বলেন, ‘একজন সাধারণ মানুষ বিচারপতিকে অনেক উপরে স্থান দিয়ে বিচার বিবেচনা করেন। পৃথিবীর কোনো দেশে এমন নজির নেই যে বিচারপতিরা প্রেস কনফারেন্স করেন।’ তিনি বলেন, ‘এতে আমাদের বিচার বিভাগের ভাবমূর্ত নষ্ট হবে এবং যিনি করবেন তার উচ্চ ভাবমূর্তিও থাকবে না।’‘বিচারপতিরা যখন বিচারালয়ে আসিন থাকেন তখন তারা রায় বাসায় গিয়েই দেন। কিন্তু এখানে প্রশ্ন হলো অনেকগুলো রায় কেন জমা থাকবে। এটা কোনো মতেই কাম্য নয়। কোনো জরুরি মামলা থাকলে সেই মামলা হয়তো রায় দিতে দেরি হতে পারে। কিন্তু সাধারণ এক দেড়শোটা মামলা কেন রায় না দেয়া থাকবে’, যোগ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।প্রধান বিচারপতির বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রোববার শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন এবং তারপরে আবার সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটি প্রেসবিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেটিকে নজিরবিহীন বলা হয়েছে। এর জেরে সোমবার নিষেধাজ্ঞাও দেয়া হয়েছে যেন সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় কেউ সংবাদ সম্মেলন না করে।এই ঘোষণার মধ্যদিয়ে সোমবার দুপুরের পর বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সুপ্রিম কোর্টের বাইরে মাজার গেটের সামনে বটতলায় দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ বিষয়ে বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি বিচারালয়ের কর্ণধার, হিসেবে উনি চাইবেন রায়গুলো যাতে তড়িৎ গতিতে দেয়া হয়, কোর্টের ফাইল যাতে কোর্টে থাকে। রেকর্ডগুলো থাকে- এটা তো স্বাভাবিক ব্যাপার এবং কোনো বিচারপতির যদি এ ব্যাপারে কোনো রকম বক্তব্য থাকে তিনি তা প্রধান বিচারপতির কাছে গিয়েই বলতে পারেন। এখানে তো প্রেসকাফেন্সের কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি না।’এফএইচ/বিএ