দেশজুড়ে

পদ্মা সেতুর সুবাদে বেড়েছে পর্যটক, লাইফগার্ড-বিচ লকার নিয়ে হতাশা

আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস। এ দিবসকে ঘিরে জেলা প্রশাসন স্থানীয় সংগঠনগুলোর নানা আয়োজন থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় জর্জরিত পটুয়াখালীর পর্যটন নগরী কুয়াকাটা। পর্যটনবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে দৃশ্যমান উন্নয়ন এবং আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় লাইফগার্ড ও বিচ লকার না থাকায় পর্যটকের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও হতাশ।

তাদের মতে, ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় একলাফে কয়েকগুণ পর্যটক বেড়েছে। তবে সি-বিচের অব্যাহত ভাঙন, অভ্যন্তরীণ সড়ক ব্যবস্থার দুরবস্থা, জিও ব্যাগের কারণে বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় গর্তের। ফলে চলতি বছর মৃত্যু হয় তিনজন পর্যটকের।

নিরাপত্তার স্বার্থে সৈকতে লাইফগার্ড নিয়োগ এবং মালামাল নিরাপদে রাখতে লকারের দাবি জানিয়েছেন পর্যটকরা।

কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা হাসান আল-রাব্বি বলেন, ‘সৈকতে গোসলে নেমে আঘাত পেয়েছি। কোথায় সমতল আর কোথায় গর্ত তাতো আমরা জানি না। যদি লাইফগার্ড থাকতো তাহলে পর্যটক নিরাপত্তায় আরও সুবিধা হতো। দেশের বিভিন্ন জায়গায় লাইফগার্ড রয়েছে। আমাদের দাবি যেন কুয়াকাটায় লাইফগার্ড দেওয়া হয়।’

সৈকতে ঘুরে পর্যটকদের ছবি তোলেন আ. রহিম। তিনি বলেন, ‘পর্যটকরা সৈকতে নামার পর কোথাও বসতে পারে না। তাদের জরুরি মালামাল রাখার জায়গা নেই। তাই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। কয়েকদিন আগে দুজন পর্যটক মারা গেলো। লাইফগার্ড থাকলে এ দুর্ঘটনাটি নাও ঘটতে পারতো।’

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক জাগো নিউজকে বলেন, কুয়াকাটা সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের চেঞ্জিং রুম, বসার স্থান, লাইফগার্ড বা লকার কোনো কিছুই নাই। ফলে অনেক পর্যটক হতাশ হন। তাই আমরাও চাই এগুলোর প্রতি যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজর দেয়। তাই আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েকবার আলোচনা করেছি।

এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, কুয়াকাটা সি-বিচ রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন জেলা প্রশাসক। তাই আমি চাইলেও কোনো কিছু করতে পারছি না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ যাতে কুয়াকাটার স্বার্থে পৌরসভাকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। তাহলে কুয়াকাটাকে আরও উন্নত করা সম্ভব।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব শংকর চন্দ্র বৈদ্য জাগো নিউজকে বলেন, কুয়াকাটার অভ্যন্তরীণ সব সমস্যা সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কাজ চলমান। তাই বলা যায় বর্তমানে যে সমস্যাগুলো রয়েছে শিগগির তার সমাধান হবে।

এসজে/জিকেএস