এবার একুশে বইমেলা উপলক্ষে নাট্যকার শফিকুর রহমান শান্তনু লিখেছেন একটি উপন্যাস- খামসূত্র। এ সম্পর্কে লেখক বলেন, ‘মূলত এটি একটি রোমান্টিক থ্রিলার। একদিক থেকে দেখলে এটা একজন নায়িকার গল্প। আরেকদিক থেকে দেখলে এটা এক বেশ্যার দালালের জীবনের সব থেকে বড় টার্নিং পয়েন্ট।’ কিন্তু খামসূত্র আসলে কি? এটা কি কোন নতুন সূত্র? বইয়ের ফ্ল্যাপে তুলে দেয়া অংশবিশেষে তার ইঙ্গিত। ‘পিয়ানাকে চেয়ারের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়েছে। চেয়ারের একটা পা ভাঙা।‘শুনেন ম্যাডাম, আপনারে কিডন্যাপ করা হইছে। কোন চালাকির চেষ্টা করবেন না। পুলিশ টুলিশ আমরা পকেটে নিয়ে ঘুরি। পকেট ঝাড়া দিলে দু চারটা পুলিশ বুকডন দিয়ে বেরিয়ে আসবে। আপনাগো মিডিয়া লাইনেরই দুই চাইরটারে ধরছিলাম। ঐ যে, জাহিদ হাসান, মৌসুমি...।’ আব্বাস বিরক্ত মুখে বলে, ‘অত কাহিনীর দরকার নাই। মূল কথায় আসো।’ মূল কথাটা আসলে কি? কোন দুর্বোধ্য সূত্রের কচকচানি!পৃথিবী দাঁড়িয়ে আছে কয়েকটি সূত্রের ওপরে। এই সূত্রগুলি না থাকলে কি যে হত, ভাবা যায়? কেউ কেউ খামসূত্র শব্দের ‘খ’ অক্ষরটিকে মুদ্রণ প্রমাদ হিসেবে ধরে নিতে পারেন। কিন্তু না! পৃথিবী এতদিন ব্যান্জন বর্ণের প্রথম বর্ণের সূত্র জেনেছে। তোলপাড় করেছে। এবার জানবে, দ্বিতীয় বর্ণের সূত্রের কথা। খামসূত্র এক নতুন দুনিয়ার ধারণা দেয় যা খুব চেনা অথচ কোনদিনই আমরা চিনতে পারি না। যেখানে প্রেমের ছিঁটেফোটা নেই, অথচ বুকের বাম পাশে সুখের মত ব্যথা করে ওঠে। কারো হাসি এলোমেলো করে দেয় সব! আয়নায় দাঁড়িয়ে মনে হয়, এযেন অন্য কেউ! অন্য কারো জীবন! পলকে জীবন বদলে দেয়ার আরেক নামই কি প্রেম! না-কি ঘৃণা!’ সময় প্রকাশন থেকে প্রকাশিত বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। মূল্য ১০০ টাকা। উল্লেখ্য, বর্তমানে শফিকুর রহমান শান্তনু রচিত ধারাবাহিক নাটক সম্রাট এনটিভিতে, থার্ড আই একুশে টিভিতে, থার্ড আই বাংলাভিশনে ও বাই ফোকাল চ্যানেল নাইনে নিয়মিত প্রচার হচ্ছে। এইচএন/পিআর