সৈয়দপুর রেল স্টেশনের টিকিট কালোবাজারির প্রতিবাদ করায় রাবেয়া আকতার মুন নামে এক যাত্রীকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে স্টেশনের বুকিং সহকারীসহ চারজনের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ওই নারীকে রুমে আটকে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলেও জানা গেছে। পরে রাতেই ভুক্তভোগী সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী রাবেয়া আক্তার মুন সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা মহল্লার নাসিম হোসেনের মেয়ে। তিনি ঢাকায় রেলওয়ের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাবেয়া আকতার মুন ১ অক্টোবর ঢাকাগামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের জন্য বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) স্টেশনে যান। এসময় টিকিট নেই বলে কাউন্টার থেকে জানিয়ে দিয়ে শহরের সৈয়দপুর প্লাজার গ্লোবাল কম্পিউটারের দোকানে যাওয়ার পরামর্শ দেন স্টেশন বুকিং সহকারী জাহেদুল ইসলাম রনি।
সেখানে গিয়ে গ্লোবাল কম্পিউটারের মালিক মনোয়ার হোসেনের কাছে চারটি টিকিটের জন্য ৩ হাজার ২০০ টাকা দেন ভুক্তভোগী রাবেয়া আক্তার মুন। তবে সেখানে টিকিট না দিয়ে একটি স্লিপ দিয়ে পুনরায় স্টেশনে যেতে বলেন মনোয়ার হোসেন। ওই স্লিপ স্টেশনে দিলে কাউন্টার থেকেই টিকিট দেওয়া হয়। এসময় ভুক্তভোগী রাবেয়া আক্তার ১ হাজার ৮০০ টাকার টিকিট কেন হয়রানি হয়ে ৩ হাজার ২০০ টাকায় নিতে হবে প্রতিবাদ করায় বুকিং সহকারী জাহেদুল ইসলাম রনি তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। একপর্যায়ে আরও দুই নারীর সহযোগিতায় টেনেহিঁচড়ে তাকে একটি কক্ষে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে। এসময় তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ও টিকিটও কেড়ে নেওয়া হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী মাহবুব হোসেন বলেন, স্টেশন থেকে তার টিকিট শুধু প্রিন্ট করে দেওয়া হয়েছে। লাঞ্ছিতের ঘটনা সত্য নয়। এছাড়া তিনি শহরের কোন দোকান থেকে টিকিট কিনেছেন তা আমাদের জানা নেই।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল ইসলাম বলেন, লাঞ্ছিতের ঘটনায় এক নারী অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএইচ/জিকেএস