জাতীয়

চট্টগ্রাম ও র‌্যানং বন্দরের মধ্যে জাহাজ চলাচলে আরো বিশ্লেষণ

চট্টগ্রাম বন্দরের সামর্থ ও সুযোগ-সুবিধা মূল্যায়নপূর্বক বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করাসহ দু’দেশের মধ্যে নৌ-বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরাসরি উপকূলীয় জাহাজ চলাচলের উপযুক্ততা যাচাইয়ের মাধ্যমে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে সরকার আরো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক আলোচনা সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।আলোচনা সভায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব জনাব অশোক মাধব রায় এবং পক্ষে নেতৃত্বদেন থাইল্যান্ডের পোর্ট অথরিটির সহকারি মহাপরিচালক প্রজাক শ্রীভাথানা।বাংলাদেশের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিম এবং পররাষ্ট্র, বাণিজ্য, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক এলাকা কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম বন্দর, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও নৌখাতের বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।থাইল্যান্ড পোর্ট অথরিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন-থাইল্যান্ড পোর্ট অথরিটির উপ-পরিচালক সমচাই হেমথং, পরিচালক সাসিপাত নান্দিগুপ্তা, বিজনেস প্রমোশন প্রধান তানাই ভিপাসাথাভাচ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কানচিসা দিরদ, রেনং প্রদেশের গভর্নর সুরাইয়ান কানজানাসিল্প, সহকারি জেলা প্রধান কর্মকর্তা নপোল সুকিতপানীনিদ, চেম্বার অব কমার্সের চেয়ারম্যান সুদাপর্ন জদপিনিজ, থাই শিল্প র‌্যানং ফেডারেশনের সভাপতি ম্যাথাস র‌্যাংসিয়ানান, থাই বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি মিংপ্যান্ট চায়াভিচিটসিল্প, র‌্যানং কাস্টমসের পরিচালক রিসদা টং ধামাচার্ট এবং একি কুরনিয়াভ্যান।বৈঠকে জানানো হয় যে, চট্টগ্রামের বন্দরের সাথে থাইল্যান্ডের র‌্যানং বন্দরের মধ্যে সরাসরি সমুদ্র যোগাযোগ হলে দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পণ্য পরিবহনের সময় এবং ব্যয় তিন ভাগের এক ভাগে নেমে আসবে। মিয়ানমার ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের সাথেও যোগাযোগ সম্পর্ক গড়ে তুলতে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। দু’দেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হলে উভয় দেশের ব্যবসায়িরা দ্বি-পক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে উৎসাহিত হবেন।উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে মেরিটাইম সহায়তা চুক্তি সম্পন্ন হলেও এটি বর্তমানে অকার্যকর রয়েছে।এসএ/এসএইচএস/আরআইপি