চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের নির্বাচনী পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে এক ছাত্রকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে৷
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কলেজের গণিত বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে সহপাঠীরা আহত কলেজছাত্র রেহান নেওয়াজকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রেহান শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের সাধারীটোলা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে এবং নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। মারধরের ঘটনায় সদর মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
মারধরের শিকার রেহান বলেন, ‘দ্বিতীয় বর্ষের নির্বাচনী পরীক্ষা দিয়ে গণিত বিভাগে রেখে আসা ছাতা আনতে যাই। এ সময় পিয়নের কাছে ছাতা চাইলে পাশ থেকে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, কোথায় ছাতা আছে? এভাবে উঁচু গলায় কথা কেন? এরপর আমি শুধু বলি, এভাবে কথা বলছেন কেন ভাইয়া? আমি তো রেখে যাওয়া ছাতা নিতে এসেছি। এ কথা বলার পরপরই আমাকে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন আনোয়ার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ওপর তার (আনোয়ার হোসেন) আগের রাগ থাকতে পারে। কারণ আমি পড়াশোনার চাপের কারণে বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে তিনি ডাকার পরও যেতে পারিনি। এ রাগ থেকেই হয়তো আমাকে মারধর করতে পারে। এছাড়া তিনি অত্যন্ত রগচটা স্বভাবের। কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বললেই খারাপ আচরণ করে। হোস্টেলে থাকা ছাত্ররা সবাই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা। তাই ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলে না।’
এ বিষয়ে জানতে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শংকর কুমার কুন্ডুর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়। অন্যদিকে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের মোবাইল নম্বরে কল একাধিক দিলেও রিসিভ করেননি।
তবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ শিকদার জাগো নিউজেক বলেন, বিষয়টি দুপুরেই শুনেছি। খবর নিয়ে জানতে পেরেছি, হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর ওই শিক্ষার্থী কলেজের হোস্টেলে রয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনা করে উভয় পক্ষের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করছি।
অভিযোগের বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুল আহমেদ চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, মারধরের বিষয় নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোহান মাহমুদ/এসজে/জিকেএস