জাতীয়

তেলের দাম পর্যালোচনার তাগিদ

দেশে জ্বালানি তেলে দাম কমানো যায় কি-না সেই বিষয়ে পর্যালোচনা করতে সরকারকে তাগিদ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের অব্যাহত দরপতনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশেও দাম কমানো যায় কি-না এজন্য এই তাগিদ দেয় বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ তাগিদ দেয়া হয়। সভাপতি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, আতিউর রহমান আতিক, আবু জাহির, এম এ লতিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও নাসিমা ফেরদৌসী অংশ নেন।বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য হুইপ আতিউর রহমান আতিক সাংবাদিকদের বলেন, তেলের দাম না কমালে সার ও বিদ্যুতের দাম কমিয়ে জনগণকে সুবিধা দেয়া যায় কি-না, সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সেই আলোচনাও এসেছে।তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম কমালে ভোক্তা পর্যায়ে প্রভাব পড়বে কি-না, সেটা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম কমালে গাড়ি ভাড়া কমবে কি-না, সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এমন আলোচনাও এসেছে, তেলের দাম না কমিয়ে সার এবং আবাসিক এলাকায় বিদ্যুতের দাম কমালে সাধারণ মানুষ সরাসরি সুবিধা পাবে।সংসদীয় কমিটিতে মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ১৫ মাসে ১১ হাজার ৭৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আয় করেছে বিপিসি। এই আয় থেকে সাত হাজার ১০৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা দেনা শোধ ও ইস্টার্ন রিফাইনারির দুই নম্বর ইউনিটের জমির জন্য খরচ করেছে বিপিসি।এসব টাকা শোধের পরও সরকারের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে নেয়া ২৬ হাজার ৩৪৯ কোটি ৮১ লাখ টাকার দায় এখনও বিপিসির রয়েছে বলে সংসদীয় কমিটিতে জানানো হয়।প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দর বেড়ে ১২২ ডলারে ওঠার পর বাংলাদেশেও দাম বাড়ানো হয়। সেই হারে বর্তমানে প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রোল ৯৬ টাকা, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এরপর গত দুই বছর ধরে জ্বালানি তেলের দাম পড়তে পড়তে ৪০ ডলারের নিচে নামলেও দাম সমন্বয় করেনি সরকার। দুই বছরেও ১২২ ডলার থেকে তেলের দর ৩০ ডলারে নেমে এলেও বাংলাদেশে দাম না কমানোর পক্ষপাতী সরকার।এইচএস/বিএ