দেশজুড়ে

রিমান্ড শেষে কারাগারে দুই শিক্ষক

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতার ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল ও জোবায়ের হোসেনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সকালে দুই শিক্ষককে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভূরুঙ্গামারী আমলি আদালতে তোলা হয়। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন এতথ্য জানিয়েছেন।

রোববার (২ অক্টোবর) ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল এবং ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক জোবায়ের হোসেনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আদালতের আদেশের পর তাদের ভূরুঙ্গামারী থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

দুই দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার তাদের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। এরআগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমানকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ওসি আলমগীর হোসেন জানান, গ্রেফতার শিক্ষকদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। পাশাপাশি অপর পলাতক আসামি ও বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আবু হানিফকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

চলমান এসএসসি পরীক্ষায় গত ২০ সেপ্টেম্বর ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষার দিন ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটে। ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লৎফর রহমানের কক্ষ থেকে ছয় বিষয়ের প্রশ্নপত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বিষয়গুলোর পরীক্ষা তখনো অনুষ্ঠিত হয়নি।

ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, কৃষি ও রসায়ন—এই চার বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিতসহ ছয় বিষয়ের প্রশ্ন বাতিল করে শিক্ষা বোর্ড। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লৎফর রহমান, ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল, ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক জোবায়ের হোসেন এবং অফিস সহকারী আবু হানিফের নাম উল্লেখ করে মামলা করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটি। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়।

এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানসহ পাঁচ শিক্ষক ও এক পিয়নকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পলাতক রয়েছেন অফিস সহকারী আবু হানিফ।

এসআর/এএসএম