দেশজুড়ে

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর শমশের আলম চৌধুরীর ইন্তেকাল

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শমশের আলম চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার ভোরে চট্টগ্রামস্থ সার্জিস্কোপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। তিনি ছয় ছেলে এবং তিন মেয়ের জনক। ছেলে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কবি অধ্যাপক আদিল চৌধুরী জানান, বিকেল ৫টায় রত্নাপালং উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি চট্টগ্রামস্থ সার্জিস্কোপ হাসপাতালে ভর্তি হন।তিনি আরো জানান, ১৯২০ সালে উখিয়ার উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের মাতাব্বর পাড়ার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শমশের আলম চৌধুরী। তার পিতা-মরহুম হাকিম আলী চৌধুরী, মাতা-আমেনা খাতুন। রত্নাপালং ইউনিয়নের কোটবাজার এমই স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করে তৎকালীন বৃটিশ আমলে কক্সবাজারস্থ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এনট্রান্স পাশ (বর্তমান এসএসসি) করেন তিনি। সে সময়ে জেলায় আর কোনো উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় তিনি বেশি দূর এগোতে পারেননি।তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোক বার্তায় শমশের আলম চৌধুরীর আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।বৃটিশ শাসনামলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনি চৌকস সামরিক প্রশিক্ষক এবং সিগন্যালকোরে কর্মরত ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। পাকিস্তান সরকারের আমলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬২ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় তিনি রত্নাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সাহচার্যে এসে তিনি ১৯৭১ সালে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধ পূর্ব ও পরবর্তী সময় তার কেটেছে দেশ ও মানবতার কল্যাণে।তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন, উখিয়া-টেকনাফ আসনের সাংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, কক্সবাজার সদর আসনের সাংসদ সাইমুম সরোয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা, সম্পাদক মুজিবুর রহমানসহ রাজনৈতিক ও পেশাজীবী নানা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সায়ীদ আলমগীর/এআরএ/পিআর