বাগানে ঢুকে ঘাস এবং সবজি খাওয়ার অপরাধে ছাগলের একদিনের কারাদণ্ড নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে ভারতের ছত্রিশগড়ে। পুলিশের কাছে বাগান মালিকের অভিযোগের পর ওই কারাদণ্ড দেয়াি হয়েছে। এ নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে ছত্রিশগড়ে। অনেকেই বলছেন, নিরীহ প্রাণীকে কারাদণ্ড দিয়ে বোকামির পরিচয় দিয়েছে পুলিশ।ছত্রিশগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে কোরিয়া জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত ছাগলটি সেখানকার বাসিন্দা আব্দুল হাসানের। আব্দুল হাসানের বাড়ির পাশেই জেলা বিচারক হেমন্ত রাত্রের বিরাট বাংলো। বাগানঘেরা এই বাংলোয় প্রায়ই ঢুকে পড়ত ছাগলটি। পুলিশের কাছে ওই বাংলোর মালি অভিযোগ করেন, ছাগলটির এতটাই বেপরোয়া স্বভাব যে কোনও বারণই শুনত না। এমনকী বাংলোর লোহার গেটে তালা দেওয়া থাকলেও আটকানো যেতো না তাকে। রীতিমতো গেট টপকে বাগানে ঢুকে গাছপালা তছনছ করত। বার বার এ ঘটনা ঘটেছে। কয়েক বার তো অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, পুলিশের কাছে ছাগলটির নামে মৌখিক অভিযোগ জানান বিচারক হেমন্ত রাত্রে। অনেক বার ছাগলটির মালিক আব্দুল হাসানকে সতর্কও করে দেওয়া হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও ছাগলটির বেপরোয়া ভাব বাড়তেই থাকে। তবে এ বারের ঘটনা আগের সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে।কয়েকদিন আগে আবার বাগানে ঢুকেছিল সেই ছাগলটি। মনের সুখে গাছপালা ও সবজিও খায়। এর পরেই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন বাগানের মালি। তার অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ ধরে নিয়ে যায় ছাগলটিকে। রেহাই মেলেনি ছাগলের মালিক আব্দুল হাসানেরও। তাকেও আটক করে পুলিশ। ছাগলটির অপরাধ স্বীকারও করেছেন আব্দুল হাসান। জেলা বিচারকের বাগানে ঢোকার অভিযোগে এক দিনের জন্য জেল হয়েছে ছাগলটির। পরে অবশ্য জামিনে ছাড়া পায় সে। ছাগলের বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে বাগানে প্রবেশ করে গাছপালা ও সবজি খাওয়ার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। অপরাধ প্রমাণিত হলে দুই থেকে সাত বছরের জেল এবং জরিমানা হতে পারে ছাগলটির। আপাতত জামিন মিলল বটে, তবে জানা গেল না, জেলের না বাগানের কোথাকার ঘাস শেষমেশ ঝুলছে এই ছাগলের ভাগ্যে।আইনের হাত যে কত লম্বা, কী মানুষ, কী ছাগল সকলের কাছেই যে সে হাত পৌঁছে যায় তা আরও একবার বুঝিয়ে দিল ছত্রিশগড় পুলিশ।এসআইএস/পিআর