পুরনো গল্পই যেন নতুন করে উপস্থাপিত হচ্ছে। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগেও ঠিক একই পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিল। ওই বিশ্বকাপের আগে ভারত সফরেই পারিশ্রমিক নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে ধর্মঘট করে বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। যার ফলে সিরিজের মাঝপথেই ভারত থেকে দলকে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। যার প্রভাব পড়েছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপেও। বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে ছাড়ায় দল গঠন করতে হয়েছিল ক্যারিবীয়দের। এবারও ঠিক একই পরিস্থিতি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করা হলেও, ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের ওপর কাঁচি চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ক্যারিবীয় ক্রিকেট বোর্ড। যে কারণে ব্রিদোহ ঘোষণা করে বসেছে ড্যারেন স্যামি-ক্রিস গেইলরা। তারা বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছে, পারিশ্রমিকের বিষয়টি ঠিক করা না হলে, বিশ্বকাপেই খেলতে যাবে না। পরিস্থিতির উত্তরণ না ঘটলেও, ক্যারিবীয় ক্রিকেট বোর্ডকে নিশ্চিত দ্বিতীয় সারির একটি দলই পাঠাতে হবে ভারতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।ক্রিকেটারদের দাবির প্রেক্ষিতে হার্ড-লাইনে যেতে চলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডও। তারা চারদিনের আল্টিমেটাম দিয়ে জানিয়েছে, বোর্ডের দেয়া প্রস্তাব অনুসারে কোন ক্রিকেটার যদি আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চুক্তিতে স্বাক্ষর না করে, তাহলে তাদেরকে বাদ দিয়েই গঠন করা হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড।ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী মিকায়েল মুইরহেড খেলোয়াড়দের দাবির প্রেক্ষিতে জানিয়েছেন, গত বছর ক্রিকেটার এবং তাদের সংগঠন ডব্লিউআইপিএ`র অনুরোধে তারা খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক এবং সুযোগ-সুবিধা ডাবল করে দিয়েছিলেন। যেটা এ বছর আর কোন পরিবর্তণ করা হবে না। এ পরিস্থিতিতে মুইরহেড জানিয়ে দিয়েছেন, `১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেউ যদি বোর্ডের প্রস্তাব অনুযায়ী চুক্তিতে স্বাক্ষর না করে, তাহলে তাদেরকে আর বিবেচনা করা হবে না।`আইসিসি থেকে তাদের যে কোন ইভেন্টে অংশগ্রহণবাবদ একটি অর্থ বরাদ্ধ দেয়া হয় প্রতিটি দেশকে। যেখান থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা ২৫ ভাগেরও কম পেয়ে থাকেন বলে ক্রিকেটারদের অভিযোগ। এবার যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, তাতে পরিমাণটা আরও কম। কারও কারও ক্ষেত্রে ৫ ভাগও নয়। এ পরিস্থিতিতে বোর্ডের কাছে টি-টোয়েন্টি দলের পক্ষ থেকে অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি একটি চিঠি লিখেন। যাতে, `দ্রুত সমস্যার সমাধান করার বোর্ডের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে। তা না হলে ক্রিকেটাররা বিশ্বকাপ বয়কট করবেন বলেও হুমকি দিয়ে রাখেন।` সব মিলিয়ে বোর্ডের কাছে ২বার চিঠি লিখেন ড্যারেন স্যামি। যেখানে তিনি প্রথমেই লিখেছেন `টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে থাকা ১৫ সদস্যের দলের প্রতিনিধি হিসেবে।` ওই চিঠিরই এক জায়গায় লিখেছেন, আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে চাই। তবে সেটি পূর্ববর্তী টুর্নামেন্টগুলোর সমান সুবিধা নিয়েই।` ক্যারিবীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে ক্রিকেটারদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলা হয়েছে, ক্রিকেটারদের কোন সুযোগ-সুবিধা কমানো হয়নি।আইএইচএস/আরআইপি