ফিচার

বনানী যেন এখন রেস্টুরেন্ট পাড়া

রাজধানীর অতিপরিচিত বনানী এলাকা ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের কাছে পরিণত হয়েছে রেস্টুরেন্ট পাড়া হিসেবে। নিয়মিত খাবার-দাবারের পাশাপাশি পারিবারিক বিশেষ অনুষ্ঠান, পাত্র-পাত্রী দেখা, গেট-টুগেদার, জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী, ব্যবসায়িক চুক্তি স্বাক্ষরের মতো বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে এ রেস্টুরেন্টগুলোতে। এসব রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশি খাবারের পাশাপাশি, ইন্ডিয়ান, ইতালিয়ান, জাপানিজ, চাইনিজ, কোরিয়ান, থাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশীয় খাবারসহ সি-ফুডও পাওয়া যায়।এ এলাকায় গেলে চোখে পড়ে বিভিন্ন দেশের রেস্টুরেন্ট। এসব রেস্টুরেন্টে নানা দেশের খ্যাদ্যাভাস অনুযায়ী তৈরি হয়ে থাকে হরেকরকমের খাবার। এ এলাকায় কফি শপ এবং আইসক্রিম পার্লারও রয়েছে ভোজনরসিকদের জন্য। সন্ধ্যার পর এ রেস্টুরেন্টগুলোতে ক্রেতারা বেশি আসেন বলে জানান দোকানিরা।বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের রেস্টুরেন্টের পাশাপাশি এ এলাকায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন তারকাদের রেস্টুরেন্টও। নায়ক-নায়িকা থেকে শুরু করে ক্রিকেটাররাও এ এলাকায় রেস্টুরেন্ট খুলতে পিছিয়ে নেই। এসব রেস্টুরেন্টে সন্ধ্যার পর জমে ওঠে তারকাদের আড্ডা।বনানীর ১১ নম্বর রোডে এবং বনানীর কামাল আতাতুর্ক রোডের দু`পাশেই এমনকি বনানী এলাকার বিভিন্ন আবাসিক বাড়িগুলোতেও গড়ে উঠেছে রকমারি রেস্টুরেন্ট। এ এলাকায় উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যম আয়ের মানুষের জন্যও রয়েছে রেস্টুরেন্ট। তবে ভুল করেও পকেটের কথা চিন্তা না করে যেকোনো রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়লে বিড়ম্বনায় পড়তে হতে পারে। আধুনিকতার এবং বিশ্বায়নের কথা মাথায় রেখে এখানকার বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টে রয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা।নিয়মিত কাস্টমার সার্ভিসের পাশাপাশি এই রেস্টুরেন্টগুলোতে হোম ডেলিভারি ও ক্যাটারিং সার্ভিসের ব্যবস্থা রয়েছে। আবার অনেক রেন্টুরেন্টে বুফে লাঞ্চ ও ডিনারের ব্যবস্থাও রয়েছে। অধিকাংশ রেস্টুরেন্ট প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে। অনেক রেস্টুরেন্টে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। ক্রেতাদের কথা বিবেচনায় নগদ ও কার্ড দু’ভাবেই বিল পরিশোধ করা যায়। এখানকার সবগুলো রেস্টুরেন্টই সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। নামিদামি ও জনপ্রিয় রেস্টুরেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে পিৎজা হাট, পিৎজা ইন, ডিস অ্যান্ড ডেজার্ট, নান্দুস, ক্যাফে ইটালিয়ানো, দি স্কাইরুম ডাইনিং রেস্টুরেন্ট, ফ্লোর সিক্স, ক্লাব হুইলস, স্টার কাবাব, সাজান, কেএফসি, সাকিব’স ডায়ান, কাবাব জোন এর মতো প্রায় দু’শতাদিক রেস্টুরেন্ট।এসব রেস্টুরেন্টে সালাদের দাম ১৫০ থেকে ৮শ` টাকা পর্যন্ত। বিরিয়ানির দাম ১৫০ থেকে ৫শ` টাকা। স্যুপ পাওয়া যায় ২২৫ থেকে ৫শ` টাকার মধ্যে। পাস্তা ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা। সি ফুড ৬শ` থেকে ১৫শ` টাকায় বিক্রি হয়। কন্টিনেন্টাল ফুড ৮শ` থেকে ১২শ` টাকায় পাওয়া যায়।    এখানকার রেস্টুরেন্টগুলোতে কফি পাওয়া যায় ১৮০ টাকা থেকে ৫শ` টাকার মধ্যে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের স্মুদি, মিল্ক শেক, ফ্রেপ্পে পাওয়া যায় ১১০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কফি শপ ও পেস্ট্রি শপও রয়েছে।পিৎজা হাটের ম্যানেজার মানুম জাগো নিউজকে বলেন, বিকেল থেকেই আমাদের এখানে বিক্রির পরিমাণ বাড়তে থাকে। বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা এখানে খাবার খেতে আসেন।কথা হয় ইতালিয়ান নাগরিক জোসেফ তাবেলার সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, তাদের দেশীয় খাবার পাওয়া যায় বলেই তিনি প্রায়ই এখানে আসেন।ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের রেস্টুরেন্ট সাকিব’স ডায়ানের কর্মকর্তা জুনায়েদ জাগো নিউজকে জানান, দেশের খ্যাতনামা ক্রিকেটার এবং নায়ক-নায়িকাসহ বিখ্যাত তারকারা খেতে আসেন তাদের রেস্টুরেন্টে।এএম/এমজেড/আরআইপি