দেশজুড়ে

মেহেরপুরে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা

মেহেরপুরের হাসপাতালে ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। প্রতিদিনই ২০ থেকে ২৫ জন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, রোগীর সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকলেও চিকিৎসা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।    সদর উপজেলার শালিকা গ্রাম থেকে ভোরের কুয়াশা ভেদ করে আসা আজিজুল হোসেনের মতো আরও অনেক শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষেরা জানান, প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার মধ্যেও আমাদের মাঠে এসে কাজ করতে হবে। কাজ না করে আমাদের কোনো উপায় নেই। শ্রমিকেরা কাজের সন্ধানে আসলেও আমরা ফিরিয়ে দিচ্ছি। বেলা ছোট হওয়ায় কাজ করিয়ে নিতে অনেক বেলা হয়ে যাচ্ছে।    সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের হাফিজা খাতুন জানান, শিশুদের ডায়রিয়া হওয়ার আগে পেটে গুড়গুড় শব্দ করে। বমি করে অনেক দূর্বল হয়ে পড়ে। আমরা হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করেছি। এখান থেকে ওষুধ দেয়ার কথা থাকলেও কোনো ওষুধ আমরা পায় নি। হাসপাতালের বাইরে থেকে ওষুধ কিনে আনতে হচ্ছে।    মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র শিশু কনসালটেন্ট ডা. মৃণাল কান্তি মন্ডল জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীসহ ডায়রিয়া ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি বেডে লিফলেট ও পরামর্শ দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে বলা হয়েছে।    মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান জানান, ডায়রিয়ার প্রার্দুভাব যেন বেড়ে না যায় সেজন্য ডায়রিয়ার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন চিকিৎসাসেবা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।আতিকুর রহমান টিটু/এসএস/আরআইপি