দেশজুড়ে

গাইবান্ধায় জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে যুবক কারাগারে

গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার সুজন মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে গাইবান্ধা জেলা দায়রা জজ আদালতের সাঘাটার বিচারিক হাকিম এ আদেশ দেন। সুজন মিয়া সাঘাটা উপজেলার টেপা পদুমশহর গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, বুধবার গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন চলাকালে পদুমশহর ইউনিয়নের সন্নাসদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে অনধিকার চর্চা করেন সুজন মিয়া। কেন্দ্রের বাইরে থেকে ভোটার ধরে এনে আঙুলের ছাপ নিয়ে নিজেই মনমতো মার্কায় ভোট মারতে থাকেন। এতে বাধা দেওয়ায় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলামের সঙ্গে তর্কে জড়ান সুজন। পরে তাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এ ঘটনায় বুধবার রাতেই প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলাম বাদী হয়ে কেন্দ্রে অনধিকার প্রবেশ, জাল ভোট দেওয়াসহ কয়েকটি অভিযোগে সুজন মিয়ার নামে সাঘাটা থানায় মামলা করেন। সুজন কোনো রাজনৈতিক দলের পদে নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঘাটা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রজব জাগো নিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে সুজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে সাঘাটার বিচারিক হাকিমের আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে বিচারক ফারুক হোসেন সুজনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে বুধবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার দৃশ্য ধরা পড়ে নির্বাচন ভবনে স্থাপন করা সিসিটিভির ক্যামেরায়। এমন বাস্তবতায় নির্ধারিত সময় বিকেল ৪টার আগেই ভোট বন্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশন।

এসজে/জিকেএস